তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে ধরনায় বসলেন এক মহিলা
তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে এদিন জেলাশাসকের কক্ষের সামনে ধরনায় বসেন এক মহিলা। এই ধরনার ঘটনায় আজ তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল মালদা জেলা প্রশাসনিকভবনে৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও সেই মহিলার সঙ্গে জেলাশাসক দেখা না করায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ পরে ওই মহিলাকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে যায় মহিলা পুলিশ৷
মহিলার নাম শেফালি মণ্ডল৷ বর্তমানে তিনি মালদা শহরের একটি প্রাথমিক স্কুলে কর্মরত৷ তাঁর অভিযোগ, শিক্ষক স্বামীর মৃত্যুর পর সেই চাকরি তিনি মেয়েকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন৷ আবেদনে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। উলটে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনে ২০১৭ সালে তাঁকে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হয়৷ পরে সেই সাসপেনশন তুলে নেওয়া হলেও সেই সময়ের মাইনের কোনও টাকা তাঁকে এখনও দেওয়া হয়নি৷ নিজের দাবি আদায়ে আজ তিনি জেলাশাসকের কক্ষের সামনে ধরনায় বসেছেন৷
তাঁর আরও অভিযোগ, ২০১৫ সালে পুরভোটে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরির নির্দেশে তাঁর বাড়িতে শাসকদল কার্যালয় খুলেছিল৷ ভোটে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী কুণাল সিংহ ৩ ভোটে সিপিএম প্রার্থীর কাছে হেরে যান৷ কেন তৃণমূল প্রার্থীর হার হল, তা নিয়ে তাঁর কাছে শাসকদল জবাবদিহি চায়৷ তিনি উত্তর দিতে না পারায় তৃণমূল প্রার্থী কুণাল সিংহ তাঁর ক্ষতি করা শুরু করেন৷ তারপর থেকেই তাঁর যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত৷
জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে থেকে মহিলা পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়াররা শেফালিদেবীকে সরিয়ে নিয়ে যায়৷ তবে এনিয়ে জেলাশাসক কিংবা প্রশাসনিক কোনও কর্তার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷
Comentários