১০ লিটার নিষিদ্ধ ইনজেকশন উদ্ধার কালিয়াচকে
কালিয়াচক থেকে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ ঔষধ বাজেয়াপ্ত করল নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর মালদা জোনাল অফিসের আধিকারিকরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল গভীর রাতে কালিয়াচক থেকে এই নিষিদ্ধ ঔষধগুলি উদ্ধার করা হয়। বেআইনিভাবে নিষিদ্ধ ঔষধ মজুত করার দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে। ধৃত ব্যক্তিকে বুধবার জেলা আদালতে পেশ করেছে নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো।
নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো সূত্রের খবর অনুযায়ী গোপনসূত্রে খবর পেয়ে গতকাল মাঝরাতে কালিয়াচকের একটি বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থাটির জোনাল ইউনিটের একটি দল। সেই বাড়ি থেকে খোলাবাজারে নিষিদ্ধ তালিকায় থাকা বুপ্রেনরফিন ইনজেকশনের ৪৯৭১টি অ্যাম্পুল উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি অ্যাম্পুলে ২ মিলিলিটার পরিমাণ ইনজেকশন ছিল। অর্থাৎ মোট ৯.৯৪২ লিটার পরিমাণ নিষিদ্ধ ঔষধ বাজেয়াপ্ত করা হয়।উদ্ধার হওয়া নিষিদ্ধ ঔষধের বাজারমূল্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছেন নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো। নিষিদ্ধ ঔষধ বেআইনিভাবে মজুত করার অপরাধে কালিয়াচকে হারুচক গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ কালু নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জেরায় সে জানায়, কালিয়াচকের মোজমপুর এলাকা থেকে সে এই ড্রাগ সংগ্রহ করেছিল এবং এই অ্যাম্পুলগুলিকে মুর্শিদাবাদের লালগোলায় পাচার করত। এছাড়া এনসিবি'র আধিকারিকরা মোহম্মদ কালুর কাছ থেকে নগদ ২,০৩০ টাকা ও তিনটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডও বাজেয়াপ্ত করেছে। ক্রেডিট কার্ডগুলি অ্যাক্সিস ব্যাংক, ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, ও বন্ধন ব্যাংকের। এনসিবি সূত্রে জানা গিয়েছে, লুপিন কোম্পানির তৈরি বুপ্রেনরফিন ইনজেকশন মূলত: অস্ত্রোপচার পরবর্তী ব্যথা কমাতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও ক্যান্সার রোগীদের যন্ত্রণা কমাতেও এর ব্যবহার রয়েছে। কোন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া এই ইনজেকশন কেনা বা বিক্রি করা যায় না। বুপ্রেনরফিন (সাবোক্সন) আফিম জাতীয় নেশাদ্রব্যের আসক্তির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, কিন্তু এটি নিজেই একটি আসক্তিমূলক ঔষধ। সরাসরি নিজেদের শিরায় নেশাদ্রব্য ব্যবহার করে এমন আসক্ত মানুষদের কাছে এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি নাম।নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো-অভিমত এই ইনজেকশন মূলতঃ মাদক তৈরির জন্যই মজুত করা হয়েছিল বলে তাদের সন্দেহ ।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
ভিডিয়োঃ কৃতাঙ্ক
Comentários