পশুকে বাঁচাতে গিয়ে তলিয়ে গেলেন প্রৌঢ়
বন্যা পরিস্থিতিতে বাড়িতে পোষা গবাদি পশুগুলিকে রক্ষা করতে গিয়ে তলিয়ে গিয়েছেন এক ব্যক্তি। খবর লেখা পর্যন্ত তাঁর দেহ উদ্ধার হয়নি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভূতনি এলাকায়।
প্রায় এক মাস ধরে জলমগ্ন ভূতনি। গত কয়েকদিন ধরে গঙ্গার জলস্তর কমতে থাকে। জমা জল বের করার জন্য প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গঙ্গার বাঁধের খানিকটা অংশ কেটে দেয় উত্তর চণ্ডীপুরের কিছু মানুষ। নদীর জলস্তর কমতে থাকায় সেই কাটা অংশ দিয়ে জল বেরোতেও শুরু করে। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় ফের জলস্তর বাড়তে শুরু করার পরেই। একই সঙ্গে গঙ্গা ও ফুলহর জলস্তর বাড়তে থাকায় ওই কাটা অংশ দিয়েই ফের জল ঢুকতে শুরু করে ভূতনি এলাকায়।
শনিবার দুপুরে গঙ্গার জলস্তর ছিল ২৫.২১ মিটার যা বিপদসীমা (বিপদসীমা - ২৪.৬৯ মিটার) থেকে ৫২ সেন্টিমিটার বেশি৷ ফুলহর তখনও বিপদসীমা থেকে খানিকটা নিচে থাকলেও দ্রুত জলস্তর বাড়ছে ফুলহরেরও। এই পরিস্থিতিতে আজ সকালে গবাদি পশুগুলিকে নিয়ে ভূতনি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় যাচ্ছিলেন উত্তর চণ্ডীপুরের বাসিন্দা সৌমেন মণ্ডল (৬১)। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলেও। পুলিনটোলার জলমগ্ন রাস্তা পেরোনোর সময় হঠাৎ একটি ভেড়া জলের তোড়ে ভেসে যেতে থাকে৷ ভেড়াটিকে রক্ষা করতে রাস্তা ছেড়ে জলে নামলে তলিয়ে যেতে থাকেন সৌমেনবাবু৷ তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে তলিয়ে যেতে থাকেন তাঁর ছেলে নিখিলও। স্থানীয় লোকজন নিখিলবাবুকে উদ্ধার করতে পারলেও জলে তলিয়ে যান সৌমেনবাবু। খবর পেয়ে উদ্ধার কাজে নেমেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments