ফের বিমান পরিসেবা চালুর স্বপ্ন দেখছে জেলাবাসী
top of page

ফের বিমান পরিসেবা চালুর স্বপ্ন দেখছে জেলাবাসী

ফের মালদায় বিমান পরিসেবা নিয়ে গুঞ্জন। চলতি বছরেই সরকারের তরফে মালদা বিমান বন্দর চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ফের আশার আলো দেখতে শুরু করেছে মালদাবাসী। অনেকেই আবার পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে এই অনুমোদনকে ভোটের স্ট্র্যাটেজি বলে দাবি করেছেন।


একটা সময় ছিল যখন মালদা বিমান বন্দরে বিমান ওঠানামা করত। একটি বেসরকারি বিমান সংস্থা ছোটো বিমান সংস্থা এই বিমান চালাত। নব্বইয়ের দশকের শুরুতেই এই বিমান পরিসেবা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৭ সালে এই বিমানবন্দরে পাকা রানওয়ে তৈরি হয়৷ বর্তমানে মালদা বিমান বন্দরে ১৮০০ মিটারের রানওয়ে রয়েছে। তবে বড়ো বিমান চালাতে অন্তত ২৭০০ মিটার ও মাঝারি বিমানের ক্ষেত্রে ২০০০ মিটার রানওয়ে প্রয়োজন। পশ্চিমপ্রান্তে রানওয়ে বৃদ্ধি করতে ফের অধিগ্রহণ করতে চাইছে জেলা প্রশাশন। এনিয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর৷


জেলাশাসক নিতীন সিংহানিয়া জানিয়েছেন, বিমানবন্দরের কিছু কাজ বাকি রয়েছে৷ এনিয়ে একটি প্রোজেক্ট তৈরি করে রাজ্যে পাঠানো হয়েছিল। সেই প্রস্তাবে সবুজ সংকেত পাওয়া গিয়েছে৷ বিমানবন্দরের লাউঞ্জ, ফুড জোন, টিকিট এবং চেক ইন-আউট কাউন্টার, পার্কিং ইত্যাদি তৈরির জন্য রাজ্য সরকার আপাতত ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে৷ এই টাকায় বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীরও নিশ্ছিদ্র করা হবে৷ চলতি বছরই মালদা বিমানবন্দরে উড়ান পরিষেবা চালু হয়ে যাবে৷



স্থানীয় বাসিন্দা তাপস রায় বলছেন, গত কয়েকটি নির্বাচনে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রচারের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে মালদায় বিমান পরিসেবা চালু করা। ভোট আসলেই রাজনীতির ময়দান থেকে বিমান পরিসেবা চালুর প্রসঙ্গ উঠে আসতে থাকে। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে শোনা যাচ্ছিল, একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তাও পাকা হয়ে গিয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই পরিসেবা চালু হয়ে যাবে। কিন্তু ভোট যেতেই সব হাওয়া। এসব শুধু ভোটের ময়দানে টিকে থাকার স্ট্র্যাটেজি।


আরেক স্থানীয় বাসিন্দা আবার বিমান চালুর আশায় ফের বুক বাঁধতে শুরু করেছেন। তাঁর কথায়, দীর্ঘদিন ধরে আমরা পরিসেবা চালু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। আশা করছি দ্রুত পরিসেবা চালু হবে।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page