স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকার, কাঠগড়ায় সভাধিপতির আত্মীয়
top of page

স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকার, কাঠগড়ায় সভাধিপতির আত্মীয়

আইনি বিয়ের পর ছয় বছর সহবাস। গর্ভবতী হয়ে পড়ায় যুবতিকে গর্ভপাত করতে বাধ্যও করা হয়। এখন স্ত্রীর মর্যাদা দিতেও অস্বীকার করার অভিযোগ উঠল মালদা জেলাপরিষদের সভাধিপতির আত্মীয়ের বিরুদ্ধে। স্ত্রীর মর্যাদা পেতে আজ সভাধিপতির বাড়ির সামনে ঘণ্টাখানেক ধরে বিক্ষোভ দেখান ওই যুবতির পরিবার এবং গ্রামের লোকজন। সভাধিপতির দাবি, বিষয়টি মীমাংসা করতে ওই যুবতির পরিবারের লোকজনের কাছে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর আবেদনে সাড়া দেননি যুবতির পরিবার।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁচল-১ ব্লকের ইসমাইলপুর গ্রামের মাতৃহারা ওই যুবতির সাথে গ্রামেরই এক যুবক রাকিবুল ইসলামের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে। প্রাপ্তবয়স্ক হতেই ২০১৯ সালে তারা আইনি বিয়েও করেন। ওই যুবতির অভিযোগ, তিন বছর কাটলেও এখনও স্ত্রীর মর্যাদা দিচ্ছে না স্বামী। রেজিস্ট্রি করার পর একাধিকবার বাইরে নিয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছে রাকিবুল। তিনি গর্ভবতী হলে জোর করে তাঁকে গর্ভপাত করানো হয়েছে। নানা অজুহাত দেখিয়ে দূরে সরিয়ে রেখেছে। কয়েকদিন আগে সংসার করার জন্য তার বাড়িতে গেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে মারধর করে। রাকিবুল জেলাপরিষদের সভাধিপতির আত্মীয়। সভাধিপতির কাছে বিচার করতে গেলে বারবার তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আইনি বিয়ে করার পরও যদি স্ত্রীর মর্যাদা পেতে এভাবে যদি বারবার হয়রানির শিকার হতে হয় তবে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনও পথ থাকবে না।



জেলাপরিষদের সভাধিপতি রফিকুল হোসেন জানান, ছেলেপক্ষ তাঁর দুঃসম্পর্কের আত্মীয়। বিষয়টির মীমাংসা করতে তিনি যুবতির পরিবারের লোকজনের কাছে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়েটির পরিবার তাঁর আবেদনে সাড়া দেয়নি। উল্টে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। ওরা রেজিস্ট্রি বিয়ে করেছে। যদি তাঁদের কোনও সমস্যা হয়, তবে তাঁরা পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হবেন।




আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page