top of page

লাইফ জ্যাকেটের বালাই নেই, ঝুঁকির পারাপার মহানন্দায়

প্রশাসনের নির্দেশের পরেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করে নদী পারাপারের অভিযোগ চাঁচল-২ নম্বর ব্লকের চন্দ্রপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের জোতমনি গ্রামের কানাইপুর ঘাটে।


উল্লেখ্য, প্রায় তিন বছর আগে চাঁচলের জগন্নাথপুর ঘাটের কাছে মহানন্দায় ডুবে গিয়েছিল যাত্রীবোঝাই নৌকা। সেই ঘটনায় নয়জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপরেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল লাইফ জ্যাকেট ও বয়া ছাড়া নৌকায় যাত্রী নিয়ে যাওয়া যাবে না। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ঘাটে লাইফ জ্যাকেট ও বয়া বিলিও করা হয়েছিল। তারপরেও কোনো নিরাপত্তা ছাড়াই চলছে যাত্রী পরিবহণ।



"প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছে, নৌকায় ২০ জনের বেশি যাত্রী তোলা যাবে না। কিন্তু মানুষ সময় বাঁচাতে মানুষ ঝুঁকি নিয়েই নৌকায় উঠছে"

জেলায় বর্ষার দেখা না মিললেও উত্তরের জল নদীতে আসতে শুরু করেছে। ফলে বাড়তে শুরু করেছে নদীর জলস্তর। এরই মধ্যে চন্দ্রপাড়ার কানাইপুর ঘাটে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা নৌকো। নদীতে সেতু না থাকায় চন্দ্রপাড়া ও উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দাদের নৌকা পারাপার করেই গন্তব্য স্থলে পৌঁছতে হয়।


স্থানীয় বাসিন্দার জানান, প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছে, নৌকায় ২০ জনের বেশি যাত্রী তোলা যাবে না। কিন্তু মানুষ সময় বাঁচাতে মানুষ ঝুঁকি নিয়েই নৌকায় উঠছে। কোনও নৌকায় লাইফ জ্যাকেট কিংবা বয়া নেই। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলেই প্রশাসনের টনক নড়ে। তারপর সব চুপচাপ। কানাইপুরে মহানন্দার ওপর সেতুর দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।


জেলাপরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন জানান, জেলাপরিষদ কিংবা পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে থাকা প্রতিটি ঘাটেই যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে লাইফ জ্যাকেট ও বয়া দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।




আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page