top of page

পুরুষের আধার কার্ডে উঠছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা, দুর্নীতির গন্ধ মালদাতে

কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর পর এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ। পুরুষদের আধার কার্ড এবং মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে প্রতি মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা হাতানোর অভিযোগ মালদায়। বিষয়টি জানতে পেরেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।


কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়াগ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ আমানুর রহমান৷ তাঁর ছেলে মহম্মদ তৈমুর রহমানের আধার কার্ড নম্বর ব্যবহার করেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে জালিয়াতি করা হয়েছে৷ বিষয়টি নজরে আসতেই ব্লক অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আমানুর সাহেব৷


আমানুর জানান, আজ সকালে স্ত্রীর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের তথ্য মোবাইলে দেখছিলাম৷ নিজের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতেই আমার ফোন নম্বরে আরও একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য চলে আসে। সেই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যে আধার নম্বর লিংক করা রয়েছে, তা আমার ছেলের৷ কিন্তু কোনও পুরুষ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধে পেতে পারে না৷ আমার ছেলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদনও জমা করেনি৷ ছেলের আধার কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে যে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, সেখানে ২০২১ সাল থেকে প্রতি মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকছে৷ ওর কোনও ব্যাংক অ্যাকাউন্টও নেই৷ কে বা কারা অসাধু উপায়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করছে। বিষয়টি লিখিতভাবে বিডিও অফিস এবং থানাতে জানিয়েছি৷ প্রশাসন তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করুক।

ree

বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি জানান, গোটা রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি চলছে। মুখ্যমন্ত্রী যাকে নিজের স্বপ্নের প্রকল্প বলে বড়াই করেন, সেই প্রকল্পেও তৃণমূলের নেতারা দুর্নীতি করতে ছাড়ছেন না৷ এখানে কোনও প্রকল্পই দুর্নীতিমুক্ত নয়৷ এসবের পিছনে বড় চক্রান্ত রয়েছে৷ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে আরও কত দুর্নীতি হয়েছে তা তদন্ত করলে বোঝা যাবে৷ আমার অনুমান, এর সঙ্গে প্রশাসনের একাংশ জড়িত৷


জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র আশিস কুণ্ডু জানান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প৷ এই প্রকল্পকে বদনাম করতে এটা একটা চক্রান্তও হতে পারে৷ এই ঘটনা নিয়ে একটি অভিযোগ জমা পড়েছে৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে জেলাশাসক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন৷ তদন্তে যে বা যারা দোষী প্রমাণিত হবে, তারা কঠোর থেকে কঠোরতম সাজা পাবে৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Kommentare


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page