বড়ো নেতাদের আড়াল করছেন বিডিও: অভিযুক্ত নেত্রী
হরিশ্চন্দ্রপুরের বন্যার ক্ষতিপূরণ দুর্নীতিতে নয়া মোড়। দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূলি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দুর্নীতির কথা স্বীকার করে জেলা তৃণমূলের বড়ো বড়ো নেতা সহ প্রশাসনিক কর্তাদের দিকে আঙুল তুললেন। তাঁর সই জাল করে এই দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের হরিশ্চন্দ্রপুরের বন্যার ক্ষতিপূরণের দুর্নীতি নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কোয়েল দাস, বরুই গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান সোনামণি সাহা সহ বেশ কয়েকজনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা করেন বিডিও। এদের মধ্যে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কোয়েল দাস ও বরুই অঞ্চলের প্রধান সোনামণি সাহা দীর্ঘদিন থেকে পলাতক।
আদালতে সমস্ত নথি দেখিয়ে জামিন পান পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুজাতা সাহা। জামিন পেতেই দলীয় নেতৃত্ব সহ প্রশাসনিক কর্তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন তিনি। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক অনুদানের টাকা বণ্টনের মাস্টার রোলে তাঁর সই জাল করে ব্যাপক পরিমাণে আর্থিক দুর্নীতি করা হয়েছে। সেই সময় তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এলাকার বিডিও, এসডিও সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে। কিন্তু তাঁর অভিযোগকে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। উলটে তাঁর নামে বন্যার ত্রাণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে কোর্টে মামলা করা হয়। তিনি আদালতে সমস্ত নথিপত্র দেখিয়ে জামিন পেয়েছেন। এই দুর্নীতির মূল পাণ্ডারা এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি। শাসকদলের তাবড় তাবড় নেতা এই দুর্নীতিতে জড়িয়ে আছেন। প্রশাসনিক কর্তারা তাঁদেরকে আড়াল করছেন। ২০১৭ সালে বন্যায় কম ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৩৩০০ টাকা এবং বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৭০ হাজার টাকা, দুই ভাগে এসেছিল। ৩৩০০ টাকা বণ্টন হয়েছিল ঠিকভাবে। কিন্তু ৭০ হাজার টাকার মাস্টার রোলে তাঁর সই জাল করা হয়েছিল। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক এলাকাতেই মোট ১০ কোটি টাকা এসেছিল বণ্টনের জন্য। কিন্তু সেই টাকার বেশিরভাগ এলাকার বেশ কয়েকজন তাবড় তাবড় তৃণমূল নেতার পকেটে ঢুকে গিয়েছে। আর ওই তাবড় তাবড় নেতাদের আড়াল করছেন স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তারা। এই কেলেঙ্কারির মূল পাণ্ডাদের আড়াল করতেই বিডিও তাঁর বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। তিনি অনুমান করছেন, এই দুর্নীতির সঙ্গে বিডিও জড়িত রয়েছেন।
[ আরও খবরঃ তিন কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল তৃণমূল ]
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু জানান, বিষয়টি বিচারাধীন। এবিষয়ে তিনি কিছু বলতে রাজি নন।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments