top of page

তিন বছর ধরে বকেয়া টাকা, বিডিও অফিসে বিক্ষোভ ঠিকাদারদের

সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী যথাযথ নথিপত্র পেশ করে কাজের বরাত মিলেছিল। সেই কাজ সম্পূর্ণ হওয়া পাঁচ বছর পেরিয়েছে। অথচ প্রশাসন এখনও ঠিকাদারদের পাওনা টাকা মেটাচ্ছে না। এমনই অভিযোগে বিডিও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন কর্মসূচি পালন করলেন কালিয়াচক ২ ব্লকের ঠিকাদাররা। দ্রুত বকেয়া না মেটানো হলে বৃহত্তর আন্দোলন, প্রয়োজনে নবান্ন অভিযানের নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা।


ঠিকাদারদের অভিযোগ, ২০১৯-২০, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবর্ষে মহাত্মা গান্ধি ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্টের বিভিন্ন প্রকল্পে কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকে বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহের কাজ করেছেন ১৩৪ জন ঠিকাদার৷ পুরো ব্লকে প্রায় ২০ কোটি টাকার নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে। নিয়মমাফিক সরকারী টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই কাজ করতে হয়েছে তাঁদের। কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েনে গত দুই বছর ধরে এই প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে। অথচ এই প্রকল্পের তার আগের তিন বছরের টাকাও ঠিকাদাররা এখনও পাননি। এনিয়ে একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ঠিকাদাররা। কিন্তু নিজেদের বকেয়া টাকা না মেলায় আজ বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে স্মারকলিপি প্রদান করেন ঠিকাদাররা।


রাজীব চৌধুরী নামে এক ঠিকাদার জানান, তিন বছর আগে পর্যন্ত আমরা এমজিএনআরইজিএ-এর বিভিন্ন প্রকল্পে সামগ্রী সরবরাহ করেছি৷ প্রায় ২০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে৷ কিন্তু এখনও আমরা সেই কাজের টাকা পাচ্ছি না৷ বকেয়া টাকা পাওয়ার জন্য আমরা আজ বিডিওকে ডেপুটেশন দিয়েছি৷ দ্রুত বকেয়া না মেটানো হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। প্রয়োজনে আমরা নবান্ন অভিযানে সামিল হব।



বিডিও বিপ্রতীম বসাক জানান, এই ঠিকাদারদের এমজিএনআরইজিএ-এর বিভিন্ন স্কিমের টাকা বকেয়া রয়েছে৷ সেই টাকার দাবিতে আজ তাঁরা এসেছিলেন৷ প্রতিটি বিল অনুমোদনের জন্য আমরা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তাঁদের জানিয়েছি।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Hozzászólások


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page