প্রভাব খাটিয়ে শরিকদের বঞ্চনার অভিযোগে প্রাক্তন সভাধিপতির উপর ক্ষুব্ধ আদিবাসী সমাজ
top of page

প্রভাব খাটিয়ে শরিকদের বঞ্চনার অভিযোগে প্রাক্তন সভাধিপতির উপর ক্ষুব্ধ আদিবাসী সমাজ

জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতির বিরুদ্ধে জমি দখল করে বাড়ি তৈরির অভিযোগ উঠল। প্রতিবাদে শনিবার পুরাতন মালদার ৮ মাইল সংলগ্ন ৩৪ নম্বর জাতীয় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় আদিবাসীরা। পুলিশি হস্তক্ষেপে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর উঠে যায় অবরোধ৷



জেলাপরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি সরলা মুর্মু সম্প্রতি পুরাতন মালদার ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮ মাইল এলাকায়, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় সাড়ে ৪ কাঠা জমির উপর নিজের বাড়ি তৈরি করছেন৷ অভিযোগ, সরলাদেবী ছাড়াও এই জমির আরও শরিক রয়েছেন৷ কিন্তু সরলাদেবী রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে শরিকদের বঞ্চিত করে বেআইনিভাবে ওই জমিতে নির্মাণ শুরু করেছেন৷ গত ২২ অগাস্ট সরলাদেবী ও তাঁর স্বামী শিরিল টুডুর বিরুদ্ধে মালদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক শরিক শনিরাম হাঁসদা৷ অভিযোগের পরেও সরলাদেবী নির্মাণকাজ চালিয়ে যেতে থাকেন৷ গতকাল এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়৷ গতকাল সরলাদেবী শনিরাম সহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে তাঁকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই ক্ষুব্ধ হয়ে পথ অবরোধ করেন আদিবাসী সমাজের একাংশ।


এপ্রসঙ্গে ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির পুরাতন মালদা ব্লক সভাপতি সুনিরাম সোরেন বলেন, ওই জমির তিন অংশীদারের মধ্যে দুই অংশীদারের জমি সরলাদেবী কিনে নিয়েছেন৷ তবে তৃতীয় অংশীদার এখনও বিক্রি করেননি৷ কিন্তু তাঁকে সেই জমি থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে৷ গতকাল তৃণমূলের দলবল সহ বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে জমিতে আসেন প্রাক্তন সভাধিপতি৷ পুলিশের সাহায্যে তিনি জমির প্রকৃত অংশীদারকে সেই জায়গা থেকে তাড়িয়ে দেন৷ পুলিশের সহায়তাতেই ওই জমিতে বেআইনিভাবে নির্মাণকাজ চালাচ্ছেন তিনি।


গোটা ঘটনায় সরলা মুর্মুর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷ গতকাল মালদা থানায় দায়ের করা অভিযোগপত্রে তিনি দাবি করেছেন, ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর তিনি ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের গুনগাও মৌজায় ৪ কাঠা ৮ ছটাক জমি কেনেন৷ সেই জমির দলিলও তাঁর নামে৷ কিন্তু ওই জমিতে তাঁকে নির্মাণ করতে বাধা দিচ্ছে ওই জমির অংশীদার শনিরাম হাঁসদা সহ নিখিল মার্ডি ও রাঙ্গা হেমব্রম৷ গতকাল তিনি ওই জমিতে নির্মাণকাজ দেখতে গেলে অভিযুক্তরা তাঁকে মারধর ও শ্লীলতাহানির পাশাপাশি তাঁর কাছে থাকা নগদ টাকাও ছিনতাই করে নেয়৷

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page