top of page

ভূতনিকে বাঁচাতে কমিটি গঠন স্থানীয়দের

দেড় মাস ধরে বানভাসি হয়ে রয়েছে মানিকচক ব্লকের ভূতনি। বানভাসি হয়েছেন দেড় লক্ষের বেশি মানুষ। নদী বাঁধ কিংবা উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ। পর্যাপ্ত ত্রাণ মেলেনি বলেও অভিযোগ রয়েছে বানভাসিদের। এরই মধ্যে বাঁধ মেরামতির কাজ নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ভূতনির বাসিন্দাদের মধ্যে। প্রতিবাদে তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে ভূতনি বাঁচাও কমিটি তৈরি করেছেন। সরকারি বঞ্চনার প্রতিবাদে বুধবার থেকে ওই কমিটি আন্দোলন শুরু করেছে।


ভূতনি বাঁচাও কমিটির তরফে দাবি তোলা হয়েছে, গঙ্গা ভাঙনকে জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করা, ভাঙন রোধে কংক্রিট দিয়ে পাড় বাঁধাই করা, চরের জল বের করার জন্য লকগেট নির্মাণ করা ও সেচ-মন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ভাঙন রোধে ও বন্যায় খরচ হওয়া ৪৭ কোটি টাকার হিসেব শ্বেতপত্র হিসেবে প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি নতুন বাঁধ নির্মাণ, দুর্গতদের জন্য জমির ব্যবস্থার মতোও আরও কিছু দাবি তোলা হয়েছে কমিটির তরফে। এই কমিটিকে সমর্থন জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষও। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দেড় মাস ধরে ওই এলাকার বাসিন্দারা বানভাসি হয়ে রয়েছেন। অথচ সরকারি সাহায্য বলতে একটা করে ত্রিপল ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি। পানীয় জল, খাবারের অভাবে মরার মতো অবস্থায় রয়েছে এলাকার মানুষ। বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হলেও সেখানেও দুর্নীতি চলছে। বন্যা ও ভাঙন রোধের নামে ৬০ হাজার বস্তা আনছে। ২০ হাজার বস্তায় মাটি-বালি ভরে ফেলা হচ্ছে। বাকি বস্তা এমনি নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের লোকজন এখানে নেতাগিরি দেখাচ্ছে। এই দুর্নীতিগ্রস্তদের হাতেনাতে ধরতে পেলে স্থানীয় বাসিন্দারা উচিৎ শিক্ষা দেবেন।



ভূতনি বাঁচাও কমিটির এক সদস্য সুলতান শেখ জানান, দেড় মাস ধরে ভূতনিতে বন্যা চলছে৷ একটা ত্রিপল ছাড়া কোনও পরিবার সরকারি কোনও সহায়তা পায়নি৷ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ত্রাণ বিলি করছে৷ গঙ্গার বাঁধের অবস্থা ভালো নয়, সংস্কার প্রয়োজন৷ একথা প্রশাসনকে আগেই জানানো হয়েছিল। শুখা মরশুমে বাঁধ মেরামতির কোনও কাজ হয়নি। আর বন্যার মধ্যে সেচ দপ্তর বালির বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষার কাজ করছে। সেখানেও দুর্নীতি। শুখা মরশুমে নাকি বাঁধ মেরামতির জন্য টাকা মেলেনি। তবে এখন টাকা এল কোথা থেকে? নিজেদের দাবি নিয়ে আমরা কমিটি তৈরি করে জেলাশাসককে স্মারকলিপি দেব। দাবি পূরণ না হলে বিডিও অফিস, ডিএম অফিস ঘেরাও করা হবে।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Коментарі


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page