top of page

স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালাতে অস্থায়ীভাবে নিজেদের ভবন দিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ

স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চারপাশ জলে থৈ থৈ। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাতায়াতে সমস্যায় পড়ছেন রোগী থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরাও। নোংরা-পচা জল ডিঙিয়ে এভাবে পরিসেবা দিচ্ছিল স্বাস্থ্যকর্মীরা। এবারে ওই স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশে দাঁড়াল স্থানীয় একটি ক্লাব কর্তৃপক্ষ। নিজেদের ক্লাবের বিল্ডিং আগামী তিনমাস স্বাস্থ্যকর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।


মানিকচকের মথুরাপুর এলাকায় অবস্থিত খৈরাবাদ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। পাশেই অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্র ও একটি ভূমি দফতরের অফিস। তিনটি ভবনের সামনেই জমেছে জল। আপাতত জল ভবনের নিচে থাকলেও বৃষ্টি হলেই জল ভবনে ঢুকে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতেই এতদিন স্বাস্থ্য পরিসেবা দিচ্ছিলেন কর্মীরা। এতে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল রোগীদেরও। গ্রামপঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে ওই স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশে দাঁড়াল স্থানীয় একটি ক্লাব কর্তৃপক্ষ।



উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী সান্ত্বনা দাস জানান, প্রতিবছরই বর্ষার সময় এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জল ঢুকে পড়ে। পরিকাঠামোগত সমস্যার কারণে বছরের প্রায় চার মাস জলে ডুবে থাকে স্বাস্থ্য ভবন। নোংরা-পচা-জমা জল ডিঙিয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছে পরিসেবা দিতে হচ্ছে। পরিস্থিতির কথা পঞ্চায়েত প্রশাসনকে জানানো হলেও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি তাঁরা। পাশে থাকা একটি ক্লাব কর্তৃপক্ষ এগিয়ে এসে নিজেদের ভবনকে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। সমস্ত ওষুধ, নথিপত্র সমস্ত কিছুই ক্লাব ভবনে রেখে যতটা পারা যায় পরিসেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।




ক্লাব সম্পাদক সৌরভ মালাকার জানান, প্রতিনিয়ত গর্ভবতী মায়েরা ও শিশুরা পরিষেবা নিতেই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসেন। কিন্তু বর্তমানের স্বাস্থ্যকেন্দ্র জলের তলায় থাকায় পরিসেবা দেওয়াটা দুষ্কর হয়ে উঠেছে। তাই জল না কমা পর্যন্ত ক্লাব ভবনকে আপাতত স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে।


মথুরাপুর গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান মিলন মণ্ডল জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ব্লক প্রশাসনকে তিনি বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তারপরও কোনও ব্যবস্থা হয়নি।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page