শিশুমৃত্যুর অভিযোগ, শিশু বিভাগে বিক্ষোভ
top of page

শিশুমৃত্যুর অভিযোগ, শিশু বিভাগে বিক্ষোভ

ফের শিশুমৃত্যুর অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালের শিশু বিভাগে বিক্ষোভ দেখান। তখন সেখানকার নিরাপত্তাকর্মীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল যায় ও সেখানে বিক্ষোভকারীদের দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে প্রতিবাদ, অন্যদিকে আটক দু'জনকে মুক্তির দাবিতে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনরা হাসপাতালের সামনে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে দেন।


পুরাতন মালদার জলঙ্গা গ্রামের আজগর আলি পেশায় কৃষিজীবী। মা জাহিরণ বিবি একজন সাধারণ গৃহবধূ। মৃত শিশু সাড়ে তিন বছরের জাহিদ আখতার। জাহিদ ছিল তাঁদের একমাত্র সন্তান। আজগর আলির অভিযোগ, প্রবল জ্বর নিয়ে এদিন সকালে তিনি ছেলেকে মালদা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করেন। কিন্তু তারপর থেকে কোনও চিকিৎসক ছেলেকে দেখতে আসেননি। বিকেলে ছেলের শারীরিক পরিস্থিতির অত্যন্ত অবনতি হয়। সেই সময় এক চিকিৎসক জাহিদকে দেখতে আসেন। তাকে একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। এরপরেই বিকেল ৫টা নাগাদ মারা যায় তাঁর ছেলে। কোনও চিকিৎসা না পেয়েই মৃত্যু হয় তার।



জাহিদের মৃত্যুর পর আজগর সাহেবের দুই আত্মীয় আবদুল জাফর ও আইজুল হক ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা ওই ওয়ার্ডের নার্সদের ঘরে গিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন। সেখানে থাকা একটি চেয়ারও ভেঙে দেন তাঁরা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকরা। ছুটে আসেন হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরাও। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আবদুল জাফর ও আইজুল হককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এই ঘটনায় আগুনে যেন ঘি পড়ে। ওই দুজনের মুক্তি এবং অভিযুক্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের শাস্তির দাবিতে হাসপাতালের সামনে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে দেয় ক্ষিপ্ত মানুষজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।

যদিও এই ঘটনায় মৃত শিশুর পরিবারের লোকজনদেরই দায়ী করেছেন এমএসভিপি অমিত দাঁ। তিনি বলেন, জ্বর হওয়ার পর ওই শিশুটিকে একটি নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়েছিল। শেষ সময়ে তাকে মেডিক্যালে আনা হয়। অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো যায়নি। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু ওই শিশুর মৃত্যুর পর পরিবারের লোকজন হাসপাতাল ভাঙচুর করেছে। নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধর করেছেন। প্রাণভয়ে কর্মীরা ওয়ার্ড ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। এসব মেনে নেওয়া যায় না।

আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page