top of page

আবাসের তালিকা নিয়ে বচসা, ব্লক সভাপতির সঙ্গে ধস্তাধস্তি

আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে ক্ষোভের জেরে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতির ওপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ব্লক সভাপতি। পালটা ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে একই অভিযোগ থানায় জমা পড়েছে। দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।


হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েত বাম-কং জোটের দখলে৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই পঞ্চায়েত এলাকার একাধিক উপভোক্তার নাম খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। এনিয়ে গ্রামের কয়েকজন পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে কথা বলতে যান। সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেত্রীর স্বামী তথা তৃণমূলের হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর সাংগঠনিক ব্লকের আইএনটিটিইউসির সভাপতি আব্বাস আলি। প্রধানের সঙ্গে তর্ক বিতর্কের মধ্যেই আব্বাস সাহেব বলে ফেলেন, টাকা ফেললেই ঘর মিলবে। সেকথা শুনেই গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন আব্বাস সাহেব।


আব্বাস আলির অভিযোগ, কয়েকজন পঞ্চায়েতে এসে প্রধানের কাছে আবাসের তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ার কারণ জানতে চান। ওরা প্রধানের পাশাপাশি আমাকেও দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। একসময় ওরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করে। এলাকার লোকজন এগিয়ে না এলে বাঁচতাম না। পুরো ঘটনা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।



এক গ্রামবাসী মহম্মদ সালাম জানান, আমাদের কাঁচা বাড়ি৷ আবাস যোজনায় ঘরের জন্য আবেদন করেছিলাম৷ তালিকায় আমাদের দুই ভাইয়ের নাম ছিল। কিন্তু পরে আমাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন আমাদের নাম তালিকা থেকে কেটে দেওয়া হয়েছে তা জানতে আমরা প্রধানের কাছে গিয়েছিলাম। আব্বাস আলি ভিডিয়ো রেকর্ডিং করছিল। আমরা তা রেকর্ড করতে নিষেধ করি। এরপরেই আব্বাস আমাদের মারধর করতে শুরু করে। আব্বাস বলেছিল, টাকা না দিলে আমাদের নাম তালিকা থেকে কেটে যাবে। আমরা ওকে টাকা দিইনি। সেই কারণেই আমাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আব্বাস আর তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি৷


আরেক বাসিন্দা শেখ তালিম জানান, ওরা আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার যোগ্য৷ কেন ওদের নাম তালিকা থেকে বাদ গেল তা জানতে প্রধানের কাছে গিয়েছিলাম৷ চলাকালীন আব্বাস বলে, খরচা না করলে তালিকায় নাম থাকবে না৷ আমি জানতে চাই, সরকারি প্রকল্পের সুবিধে পেতে কেন টাকা দেবে? একথা বলতেই আব্বাস ও তার সঙ্গীরা মারধর শুরু করে৷ আসলে আব্বাসের কথাতে যোজনার সার্ভে করা হচ্ছে।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Komentari


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page