ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন, উত্তেজনা গৌড়বঙ্গ বিশ্ব বিদ্যালয়ে
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
- 4 days ago
- 2 min read
ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে ছাত্র বিক্ষোভ করে কেন্দ্র করে উত্তেজনা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সোমবার সকাল থেকে পড়ুয়ারা বিশ্ব বিদ্যালয়ের গেটের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন চালাতে থাকে। ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি পড়ুয়া, শিক্ষকদের। এদিকে বিক্ষোভকারীদের মারধর করে বিক্ষোভ তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। যদিও মারধরের অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে দাব ইকরা হয়েছে, অনেক পড়ুয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ে ঢুকতে না পারায় সমস্যা হচ্ছিল। সেই থেকে তাঁদের বিশ্ব বিদ্যালয়ে প্রবেশ করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের দাবি, ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে কলা বিভাগ ও বিজ্ঞান বিভাগে ভরতির ফি ছিল ২৩০০ টাকা ও ৩৭২০ টাকা। বর্তমানে তা বাড়িয়ে কলা বিভাগের জন্য ৪৮২০ টাকা এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৬৮২০ টাকা করা হয়েছে। এই অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধি নিয়ে মাস দুয়েক আগে রেজিস্ট্রারকে জানানো হয়েছিল। রেজিস্ট্রার আলোচনা করে ফি কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনোরকম আলোচনা না করেই হঠাৎ দু’দিন আগে ফি বৃদ্ধির নোটিশ জারি করা হয়। এর প্রতিবাদে পড়ুয়ারা সোমবার সকাল থেকে বিশ্ব বিদ্যালয়ের গেট ঘেরাও করে আন্দোলন চালাতে থাকে। অভিযোগ, আন্দোলন তুলে নিতে পড়ুয়াদের ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়। পরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের লোকজন এসে মারধর করে আন্দোলন তুলে দেয়। প্রতিবাদে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন পড়ুয়ারা।

আন্দোলনকারী ছাত্রী বৈশালি কুণ্ডু জানান, আমাদের ভরতির ফি এক ধাক্কায় ১০০ শতাংশের বেশি বাড়ানো হয়েছে। এনিয়ে আমরা জুন মাসেই রেজিস্টারের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। উনি এবিষয়ে বৈঠক করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেই মিটিং করা হয়নি। এরই মধ্যে কর্তৃপক্ষ ভরতির তারিখ, ফি বৃদ্ধি সহ পরীক্ষার তারিখ দিয়ে দেয়। এর প্রতিবাদে সকাল থেকে বিশ্ব বিদ্যালয়ের গেট ঘেরাও করে আমরা আন্দোলন করছিলাম। দুপুরে টিএমসিপির ছেলেমেয়েরা এসে আমাদের মারধর করে আন্দোলন তুলে দেয়। প্রতিবাদে আমরা রাস্তা অবরোধ করি।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসূন রায় জানান, বিশ্ব বিদ্যালয়ের গেট আটকে ৪০-৫০ জন ছাত্রী আন্দোলন করছিল। এতে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা হচ্ছিল। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ দায়িত্ব নিয়ে ওই সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের ভেতরে প্রবেশের ব্যবস্থা করেছে। কোনোরকম বিশৃঙ্খলা বা তাণ্ডব চালানো হয়নি।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments