এলাকা দখলের লড়াইয়ে মধ্যরাতে রণক্ষেত্র চাঁচল
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
- Aug 29
- 1 min read
এলাকা দখলের লড়াইয়ে মধ্যরাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল চাঁচল। দুই বিজেপি নেতার মধ্যে সংঘর্ষের ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। একজন পঞ্চায়েত সদস্য। অন্যজনের স্ত্রী পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি। সংঘর্ষে রক্তাক্ত হয়েছেন দুজনেই। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ছবিতে দেখা গিয়েছে এক যুব তৃণমূল নেতা বিজেপির এক নেতাকে পাথর হাতে মারতে উদ্যত। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, বিজেপির দুই নেতার সংঘর্ষে তৃণমূল নেতা কি করছেন? যদিও ঘটনার পর থেকে ওই তৃণমূল নেতার দেখা পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আহত দুই বিজেপি নেতার নাম প্রসেনজিৎ শর্মা ও সুমিত সরকার৷ চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের আশ্রমপাড়া বুথের সদস্য প্রসেনজিতবাবু৷ সুমিতবাবুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা হালদার সরকার পাশেরই থানাপাড়া বুথের সদস্যা৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই ভোটের টিকিট পাওয়া নিয়ে দু’জনের মধ্যে বিবাদ। গতকাল রাত একটা নাগাদ দু’জন অনুগামীদের নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন৷ সেখানে চাঁচল ১ নম্বর ব্লক যুব তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি জয়ন্ত দাসকে সুমিতের পক্ষ নিয়ে প্রসেনজিতের উপর চড়াও হতে দেখা গিয়েছে৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় চাঁচল থানার পুলিশ৷ আহত দুই নেতাকেই চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়।

হাসপাতালে যাওয়ার পথে প্রসেনজিৎ জানান, তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাকে মারধর করেছে৷ তাদের সঙ্গে রয়েছেন থানাপাড়া বুথে জয়ী বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী সুমিত সরকার ও তৃণমূলের যুব নেতা জয়ন্ত দাস৷
সুমিত সরকার জানান, আমরা একজনকে রাখতে আশ্রমপাড়া যাচ্ছিলাম৷ যাওয়ার সময়ই দেখেছিলাম, সেখানে ১০-১২ জন দাঁড়িয়ে রয়েছে৷ ফেরার সময় ওরা আমাদের উপর হামলা চালাতে শুরু করে৷ সবার হাতে লোহার জিনিস ছিল৷ তবে ওরা কারা সেটা বলতে পারব না৷ আমার মাথা আর হাতে লেগেছে৷
চাঁচল থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় চাঁচল থানার তরফে স্বতঃপ্রণোদিত একটি মামলা রুজু করা হয়েছে৷ গোটা ঘটনার পুলিশি তদন্ত চলছে৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments