কন্যা সন্তানের আনন্দে স্বাস্থ্যকর্মী-রোগীদের মিষ্টিমুখ, গাড়ি সাজিয়ে বাড়ির পথে দম্পতি
কন্যা সন্তান রক্ষায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। তবে আইনের চোখে ধূলো দিয়ে এখন কন্যাভ্রূণ হত্যার অভিযোগ সামনে আসছে। এই পরিস্থিতিতে সমাজকে দিশা দেখাচ্ছেন পুরাতন মালদার দম্পতি। কন্য সন্তান জন্ম হওয়ায় রাজকীয় ব্যবস্থায় মেয়েকে বাড়ি নিয়ে গেলেন তাঁরা। আনন্দে মিষ্টিমুখ করিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে অন্যান্য রোগীদেরও।
গত সোমবার পুরাতন মালদার মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন মঙ্গলবাড়ির মৌলপুর বাঁশহাট্টা এলাকার হাসমিনারা বিবি৷ স্বামী ফিরোজ আলি পেশায় ব্যবসায়ী৷ সেদিনই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন হাসমিনারা বিবি। বুধবার তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কন্যা সন্তান হওয়ার আনন্দে মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যেতে রাজকীয় আয়োজন করেন পরিবারের লোকজন। চারচাকা গাড়ি সাজিয়ে, স্বাস্থ্যকর্মী-চিকিৎসক-রোগীদের মিষ্টি মুখ করিয়ে মেয়েকে নিয়ে বাড়ির পথে রওয়ানা দেন ওই দম্পতি।

ফিরোজ সাহেবের জানান, আমাদের দুটি ছেলে রয়েছে৷ তবে দীর্ঘদিন ধরে মনে মেয়ের ইচ্ছে ছিল। মেয়ে না হওয়ায় মন খারাপ করত৷ অবশেষে আমার ইচ্ছে পূরণ হয়েছে৷ আনন্দে গাড়ি-বাড়ি সাজিয়েছি৷ আনন্দে ডাক্তারবাবু, নার্স থেকে শুরু করে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী, এমনকি হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদেরও মিষ্টিমুখ করিয়েছি৷ মঙ্গল কামনায় তাঁরাও মেয়েকে আশির্বাদ করেছেন।
হাসমিনারা জানান, প্রত্যেক দম্পতির কাছে আমার আবেদন, কেউ মেয়েকে অবহেলা করবেন না৷ ছেলেদের থেকে মেয়েরা কোনও অংশে কম নয়৷ পরিবার তৈরি করে মেয়েরা৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comentários