কোষাধ্যক্ষকে গুলি করে ব্যাংকে ডাকাতি, আতঙ্ক গাজোলে
ফিলমি কায়দায় প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যাংকে ডাকাতি। দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ব্যাংকের কোষাধ্যক্ষ। আজ দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে গাজোলের কৃষ্ণপুর এলাকায়। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ দুপুর আড়াইয়ে নাগাদ একটি গাড়িতে করে ব্যাংকে আসে ৮-১০ জন দুষ্কৃতী। প্রত্যেকেরই মুখ ঢাকা অবস্থায় ছিল এবং প্রত্যেকের হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। দুই দুষ্কৃতী ব্যাংকের গেটে প্রহরার দায়িত্বে থাকলেও বাকিরা ব্যাংকে ঢুকে পড়ে। ভল্টের চাবি নিয়ে কোষাধ্যক্ষ যোগেশ্বর মণ্ডলের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় দুষ্কৃতীদের। অভিযোগ, এরই এক দুষ্কৃতী কোষাধ্যক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। গুলি লাগে যোগেশ্বর মণ্ডলের পেটে। ব্যাংক থেকে নগদ টাকা পয়সা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। কেউ যাতে দুষ্কৃতীদের পেছনে ধাওয়া না করে তা সুনিশ্চিত করতে দুষ্কৃতীরা বোমা ফাটিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখায় বলেও অভিযোগ।
দুষ্কৃতীরা চলে যেতেই আক্রান্ত যোগেশ্বরবাবুকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে মালদা মেডিকেল কলেজে ভরতি করা হয়। মেডিকেল কলেজে যাওয়ার পথে আক্রান্ত ব্যাংক কর্মী জানান, প্রায় ৮-১০ জন মুখ বাঁধা অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ব্যাংকে ঢোকে। আমার পেটে গুলি মেরে টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়েছে ওরা।
আরেক কর্মী স্বপনকুমার মণ্ডল জানান, “প্রায় আড়াইটে নাগাদ ৮-১০ জন দুষ্কৃতী মুখ ঢেকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ব্যাংকে ঢুকে পড়ে। দুষ্কৃতীরা চাবির জন্য কোষাধ্যক্ষের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে কোষাধ্যক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। গুলি লাগে কোষাধ্যক্ষের পেটে। চাবি হাতিয়ে টাকাপয়সা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওরা একটি বোমাও ফাটায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে গাজোল থানার পুলিশ। শুনতে পেলাম ব্যাংক থেকে প্রায় ৩-৪ লক্ষ টাকা নিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
תגובות