top of page

দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে ঘর ছাড়া, স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন ব্যবসায়ীর

দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে ঘর ছেড়েছেন ব্যবসায়ী। বিষয়টি পুলিশে লিখিতভাবে জানানোর পরও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ। প্রাণের ভয়ে দিনের পর দিন লুকিয়ে থাকতে থাকতে অবশেষে পরিবার সহ স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। সেই চিঠি তিনি জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠিয়েছেন।


কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফতেখানি গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ রহিম বিশ্বাস৷ জালালপুর স্ট্যান্ডে তাঁর কাপড়ের ব্যবসা রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে জালালপুর স্ট্যান্ডে শো-রুম খোলেন রহিম। এরপর থেকেই দুষ্কৃতীরা তাঁর থেকে তোলা দাবি করতে থাকে। রহিম বেশ কয়েকবার টাকাও দিয়েছিলেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তোলার অংক বাড়তে থাকে। এক সময় দুষ্কৃতীদের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেন রহিম। ২০২২ সালের জুন মাসে দুষ্কৃতীরা তাঁকে অপহরণ করে। স্বামীকে ফিরে পেতে তাঁর স্ত্রী কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মুর্শিদাবাদের সুতি থানা এলাকা থেকে রহিমকে উদ্ধার করে কালিয়াচক থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় ১২ জনকে। এক বছরের বেশি সংশোধনাগারে থাকার পর জামিনে ছাড়া পায় ধৃতরা। ছাড়া পেতেই অভিযোগ তুলে দেওয়ার জনঅয রহিমকে চাপ দিতে শুরু করে অভিযুক্তরা। এমনকি ফের টাকার দাবি করা হয় রহিমের থেকে। দুষ্কৃতীদের কথা না শুনতে পরিবার সহ সকলকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ।

রহিম জানান, কিছু দুষ্কৃতী বারবার হামলা চালাচ্ছে৷ সমস্ত ঘটনা জানিয়ে কালিয়াচক থানায় ওদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি৷ ওদের অত্যাচারে পরিবার নিয়ে আমি আত্মীয়দের বাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছি৷ বাচ্চাদের স্কুলের সামনে দুষ্কৃতীরা বসে থাকছে৷ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কয়েকজনকে ধরলেও মূল অভিযুক্তদের ধরছে না৷ হয় আমাকে সপরিবারে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়া হোক, নয়তো দুষ্কৃতীদের ধরে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক৷ আমি পুলিশ সুপার, জেলাশাসক, এসডিপিও (কালিয়াচক), কালিয়াচক থানার আইসি থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও লিখিতভাবে সপরিবারে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছি৷


ঘটনাপ্রসঙ্গে পুলিশ সুপারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। জেলাশাসক নিতীন সিংহানিয়া জানান, এধরণের কোনও আবেদন আমার হাতে পৌঁছয়নি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page