সন্ধে হতেই মধুচক্রের আসর, রাজনৈতিক তরজা হরিশ্চন্দ্রপুরে
সন্ধে নামতেই প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতার ছেলের হোটেলে মধুচক্রের আসর বসার অভিযোগ হরিশ্চন্দ্রপুরে। প্রভাবশালী মালিকের ভয়ে দীর্ঘদিন ধরে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবশেষে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে গতকাল রাতে। স্থানীয় ওই হোটেলে হানা দেন। হাতেনাতে ধরা পড়ে মধুচক্র। হোটেলে চলতে থাকে ভাঙচুর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে পুলিশও। ড্রেনে পড়ে আহত হন সাব-ইনস্পেকটর। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয় তিন যুবক সহ এক মহিলাকে। তৃণমূলের দাবি, এভাবেই এলাকায় অনৈতিক কাজকে সমর্থন করছে বাম-কংগ্রেস জোটের দখলে থাকা পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রামপঞ্চায়েত৷ পালটা কংগ্রেসের দাবি, হোটেলের মালিক তাদের দলের হলেও ওই হোটেল কিছুদিন আগে ভাড়া দেওয়া হয়েছে৷ তৃণমূলের লোকজনরাই সেই হোটেল ভাড়া নিয়েছে৷
হরিশ্চন্দ্রপুরের তেঁতুলবাড়িতে অবস্থিত ওই হোটেলের মালিক নুর আলম৷ নুরের বাবা মোহম্মদ মুসলিম এলাকার প্রভাবশালী কংগ্রেস নেতা৷ তাঁর ভাতৃবধূ বাম-কংগ্রেস জোটের দখলে থাকা হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী৷ স্থানীয় দোকানদার মহাদেব ওঁরাওয়ের জানান, মাসখানেক ধরেই এখানে মধুচক্রের আসর বসত৷ সন্ধের পর কিছু বহিরাগত ছেলে বহিরাগত মেয়েদের নিয়ে এসে এখানে মধুচক্রের আসর বসাত৷ গতকাল রাতে গ্রামবাসীরা হোটেলে ধরপাকড় চালায়৷ থানা থেকে পুলিশ আসে৷ ধস্তাধস্তিতে এক পুলিশকর্মী ড্রেনে পড়ে আহত হয়েছেন৷
তৃণমূলের হরিশ্চন্দ্রপুর অঞ্চল সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা জানান, পুলিশ খুব ভালো কাজ করেছে৷ দ্রুততার সঙ্গে ওই হোটেল থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছে৷ সেখানে পুলিশকেও আক্রান্ত হতে হয়েছে৷ শুনেছি, এই হোটেলটি হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীর আত্মীয়ের৷ মানুষের রায় নিয়ে যদি এঁরা অসামাজিক কাজ করেন, তবে পুলিশের সঙ্গে মানুষও তার বিচার করবে৷
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী তহমিনা খাতুন জানান, মাসখানেক আগে তৃণমূলের লোকজন জোর করে বিল্ডিংটা ভাড়া নিয়েছিল৷ ভাড়া নিয়ে ওরা কী করছিল সেটা ওরাই বলবে৷ গতকাল রাতে খবর আসে, বিল্ডিং ভাঙচুর হচ্ছে৷ সম্ভবত ষড়যন্ত্র করে আমাদের ফাঁসাতেই ওরা বিল্ডিং ভাড়া নিয়েছিল৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments