যৌন নির্যাতনের পর পাশবিক অত্যাচার, নাবালিকাকে খুনে দোষী সাব্যস্ত প্রেমিক
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল

- Sep 1
- 1 min read
নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের পর পাশবিক অত্যাচার চালানো হয়েছিল। এমনকি শ্বাসরোধ করে খুনের পর প্রমাণ লোপাটে ইট দিয়ে বেঁধে পুকুরে ফেলা হয়েছিল মৃতদেহ। অবশেষে সেই ঘটনায় প্রেমিককে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল মালদা জেলা আদালত।
উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালের ১৮ জুন মালদা থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল। পরদিনের মেয়ের প্রেমিক ও তার বাবার বিরুদ্ধে মালদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নির্যাতিতার মা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃতের বয়ান থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই ঘটনায় ১৩ জনের সাক্ষীর ভিত্তিতে নাবালিকার প্রেমিককে দোষী সাব্যস্ত করল মালদা জেলা আদালত।

সরকারি আইনজীবী অসিতবরণ বোস জানান, নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে খুনের ঘটনায় বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। ওই নাবালিকার সঙ্গে সামিম আক্তার নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমের সম্পর্ক থেকে তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। ঘটনার রাতে সামিম ওই নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। যৌনাঙ্গে নির্যাতন চালায়। পরে ওই নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে সামিম। প্রমাণ লোপাটে ইট বেঁধে মৃতদেহ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় ১৩ জনের সাক্ষীর ভিত্তিতে আজ মালদা জেলা আদালত সামিম আক্তারকে দোষী সাব্যস্ত করে ও তার বাবাকে বেকসুর খালাস করে। পকসো কোর্টের বিচারক রাজীব সাহা সামিম আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন। ওই টাকা নাবালিকার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন













Comments