আবসন থেকে যুবতির দেহ উদ্ধার, রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন পরিবারের লোকজন
top of page

আবসন থেকে যুবতির দেহ উদ্ধার, রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন পরিবারের লোকজন

খাবারের সন্ধানে বাড়ি ছেড়ে ভিনরাজ্যে গৃহ পরিচারিকার কাজে গিয়েছিলেন মা সহ দুই মেয়ে। সেই বিলাসবহুল আবাসন থেকে উদ্ধার হল ১৯ বছরের যুবতির মৃতদেহ। এই ঘটনায় রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন ওই যুবতির মা ও দিদি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।


চাঁচলের দারিয়াপুর এলাকার বাসিন্দা সুমি খাতুন (১৯)। বাবা লুৎফর রহমান পেশায় শ্রমিক ছিলেন। বছর খানেক আগে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই পেটের টানে দুই মেয়েকে নিয়ে হরিয়ানা পাড়ি দেন আনোয়ারা বেওয়া। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিয়ানার গাডুলি বস্তি এলাকায় থাকতেন তাঁরা। তিনজনেই গৃহ পরিচারিকার কাজ পেয়েছিলেন। সুমি কাজ পেয়েছিলেন গাডুলি বস্তি থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে রামপ্রস্থ এলাকায়৷ সেখানে একটি বিলাসবহুল আবাসনের তিনটি ফ্ল্যাটে কাজ জুটে যায় তাঁর৷ প্রতিদিনের মতো গত মঙ্গলবারও কাজে যান সুমি৷ কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও সুমি ঘরে না ফেরায় চিন্তায় পড়ে যান আনোয়ারা৷ ওই আবাসনে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কথা বলেন৷ তিনটি ফ্ল্যাটে তাঁর মেয়ে কাজ করতেন, সেই তিন পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন৷ এর মধ্যে দুটি পরিবারের সদস্যরা ঘরের বাইরে বেরিয়ে এসে তাঁর সঙ্গে কথা বললেও অপর ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা দরজা বন্ধ অবস্থাতেই ভিতর থেকে সুমির চলে যাওয়ার কথা জানান। অবশেষে বুধবার আনোয়ারাকে ফোন করে জানানো হয়, আবাসন চত্বরে একজন যুবতির দেহ পড়ে রয়েছে৷ খবর পেয়েই বড় মেয়েকে নিয়ে ছুটে যান আনোয়ারা৷ দেখেন, সুমির গোটা মুখ ক্ষতবিক্ষত৷ অ্যাসিড দিয়ে মুখ পোড়ানোর চেষ্টাও করা হয়েছে৷ সারা শরীরে রক্তের চিহ্ন রয়েছে৷


প্রতীকী ছবি।

আনোয়ারা জানান, বিগত কয়েকদিন ধরে মেয়ে সেভাবে কথা বলত না৷ ওর সঙ্গে কিছু হয়েছিল কিনা জানি না৷ তবে মেয়ের মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ রয়েছে৷ নিরাপত্তারক্ষীরা জানিয়েছিলেন, কাজ সেরে সুমি বেরিয়ে গিয়েছে৷ তাহলে ওই আবাসন চত্বর থেকে কীভাবে মেয়ের দেহ উদ্ধার হল? আমাদের অনুমান, সুমিকে খুন করা হয়েছে৷ এর পেছনে কি লুকিয়ে রয়েছে পুলিশ তা তদন্ত করে বের করুক।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page