অনুমতি ছাড়ায় সরকারি হাসপাতালে ‘অবৈধ’ টেস্ট!
সরকারি হাসপাতালে বেআইনিভাবে নানা রক্ত পরীক্ষার অভিযোগ। এই ঘটনায় সরাসরি অভিযোগ তোলা হয়েছে ল্যাব ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরাতন মালদায়।
আজ জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালের আউটডোরে আসেন পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের নলডুবির বাসিন্দা অনিমা দাস (৫৪)। তাঁকে ডেঙ্গি সহ বেশ কয়েক ধরনের রক্ত পরীক্ষা করাতে বলা হয়৷ তিনি হাসপাতালেই রক্ত পরীক্ষা করাতে যান৷ সেখানে ডেঙ্গি, সিবিসি সহ আরও কয়েক ধরনের পরীক্ষার জন্য তাঁর রক্তের নমুনা নেওয়া হয়৷ অভিযোগ, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী গ্রামীণ হাসপাতালে ডেঙ্গি ও সিবিসি পরীক্ষা করা হয় না৷ অথচ এই দুটি পরীক্ষার জন্য তাঁর কাছ থেকে ৯০০ টাকা নেওয়া হয়।
অনিমাদেবীর ছেলে অজয় দাস জানান, চিকিৎসক মায়ের ম্যালেরিয়া, সিবিসি, ডেঙ্গি পরীক্ষা করানোর কথা বলেন৷ এখানে মায়ের বিনামূল্যেই ম্যালেরিয়ার পরীক্ষা হয়েছে৷ তারপর এখানে যখন সিবিসি ও ডেঙ্গি পরীক্ষা করাতে আসি, ৯০০ টাকা লাগবে বলে জানান ল্যাবের দায়িত্বে থাকা কর্মী৷ সরকারিভাবে এখানে ডেঙ্গি পরীক্ষার অনুমতি নেই তা আমার জানা ছিল না৷ ফলে আমি ৯০০ টাকা দিয়ে দিই। আমাকে শুধু একটি স্লিপে পেইড শব্দটি লিখে দেওয়া হয়। পরে আমি বিষয়টি জানতে পেরে তাঁদের প্রশ্ন করি৷ তাঁরা জানান, তাঁরা নাকি কলকাতা থেকে রক্তের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে আনছেন৷ হাসপাতালেও কাটমানি চালু হয়ে গিয়েছে।
হাসপাতালের ল্যাব ম্যানেজার বাবুল রায় বলছেন, আমাদের বোঝার জন্য স্লিপে পেইড লিখেছি৷ এখানে ডেঙ্গি কিংবা সিবিসি পরীক্ষার নিয়ম না থাকলেও আমরা করে দিই৷ তাহলে রোগীকে বারবার রক্ত দিতে হয় না৷ এটা অবশ্যই বৈধ৷ এরপর থেকে আমরা পাকা বিল দিয়ে দেব৷
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়দীপ মজুমদার তিনি জানান, আগামীকালের মধ্যেই যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
コメント