ফের বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, গ্রেফতার এক
top of page

ফের বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, গ্রেফতার এক

মাঝরাতে এক বিজেপি নেতাকে গুলি করার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরাতন মালদায়৷ গুলি মাথা ছুঁয়ে চলে যাওয়ায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন ওই নেতা৷ বর্তমানে তিনি মালদা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন৷ এই ঘটনায় এক দুষ্কৃতীকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করেছে গাজোল থানার পুলিশ৷

আক্রান্ত বিজেপি নেতার নাম প্রভাত টুডু৷ বাড়ি পুরাতন মালদার ভাবুক সংলগ্ন রঞ্জকালী এলাকায়৷ প্রভাতবাবু গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির তরফে কুতুবপুর বুথের দায়িত্বে ছিলেন৷ জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে তাঁর বাড়ির বাইরে দুই যুবক কথা বলছিল৷ সেই সময় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বেরোন প্রভাতবাবু৷ তখন ওই দুই যুবক মোবাইলের টর্চ জ্বালিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলছিল৷ এলাকায় চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা মাথায় রেখে এগিয়ে যান প্রভাতবাবু৷ অপরিচিত দুই যুবককে দেখে জেরা শুরু করেন তিনি৷ তাঁদের মধ্যে তর্কাতর্কিও হয়৷ অভিযোগ, এরপরেই এক যুবক তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে৷ গুলি প্রভাতবাবুর মাথা ছুঁয়ে চলে যায়৷ তড়িঘড়ি তিনি ঘরে ঢুকে পড়েন৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ওই দুই যুবক৷ আজ ভোরে মালদা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি গুলির খোল উদ্ধার করে৷



প্রভাতবাবু বলেন, ‘রাতে বাড়ির বাইরে গোরু বাঁধা ছিল৷ মাঝরাতে পেচ্ছাপ করতে ঘরের বাইরে যাই৷ অপরিচিত দুই যুবক দেখে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করি৷ ওরা নিজেদের বাড়ি কালিয়াচকে বলে জানায়৷ মোটরবাইকের তেল শেষ হয়ে যাওয়ার ওরা আটকে গিয়েছে বলেও জানায়৷ দেখি বাইকে কোনও নম্বর প্লেট নেই৷ তখনই সন্দেহ বেড়ে যায়৷ এনিয়ে প্রশ্ন করলে ওরা পালানোর চেষ্টা করে৷ তখন আমি একজনের হাত ধরে ফেলি৷ তখনই একজন গুলি চালায়৷



এদিকে গাজোল থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গভীর রাতে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়াররা তীব্রগতিতে মোটরবাইক আসতে দেখে চালককে দাঁড় করান৷ সন্দেহ হওয়ায় চালককে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় ছয় রাউন্ড গুলি ভরতি একটি পিস্তল৷ এরপরেই গ্রেফতার করা হয় আলিম খান (২২) নামে ওই যুবককে৷ তার বাড়ি কালিয়াচকের নারায়ণপুরে৷ জেরায় সে স্বীকার করে, তার এক সঙ্গী পুরাতন মালদার এক বিজেপি নেতাকে গুলি করেছে৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page