মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচলেন গোবিন্দ, অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা বিজেপির
পুরসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির জেলা সভাপতি ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচলেন। এই ঘটনায় পেছনে অন্তর্ঘাত থাকতে পারে বলেও দাবি তাঁর। যদিও এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেননি তিনি।
জানা গেছে, সোমবার দুপুরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে দুই দলীয় কর্মীকে নিয়ে রতুয়া যাচ্ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল। জেলা কার্যালয় থেকে গাড়ি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাসে উঠতেই গাড়ির চালক লক্ষ্য করেন গাড়ির ব্রেক কাজ করছে না। চালক কোনোরকমে গতিবেগ কমিয়ে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে আনেন। গাড়ি পরীক্ষা করে তাঁরা দেখতে পান গাড়ির ব্রেক-শু খোলা, সামনের চাকার নাট বল্টুও ঢিলে। এরপরেই তাঁরা ফের দলীয় কার্যালয়ে ফিরে আসেন।
জেলা কার্যালয়ে লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা যায়, রবিবার রাতে দু’জন দপ্তরে রাখা গাড়ির কাছে দীর্ঘক্ষণ ঘোরাঘুরি করছিল৷ ওই দু’জনকে কেউ চিনতে পারেননি৷ তারাই গাড়ির ব্রেক-শু খুলেছে কি না তাও ওই ফুটেজ দেখে বোঝা যায়নি৷ এরপরেই গোটা ঘটনার দলীয় তদন্তের জন্য দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়৷ তবে এনিয়ে পুলিশের কাছেও কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি গোবিন্দবাবু।
গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল, বিজেপির জেলা সভাপতি
“বিষয়টি অন্তর্ঘাত হতেও পারে৷ রবিবার রাতে কয়েকজন দলীয় দপ্তরে ঢুকে গাড়ির ব্রেক-শু খুলে দিয়েছিল৷ সামনের চাকার নাট-বল্টু ঢিলে করে দিয়েছিল৷ এসব থেকেই অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা করছি।”
লোকসভা নির্বাচনের পরে জেলা বিজেপির পদে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এমনকি দল থেকে প্রাক্তন জেলা সভাপতিকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যদিও এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি গোবিন্দবাবু।
Comments