পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে ভাঙচুর বিহার পুলিশের! ক্ষোভ এলাকায়
top of page

পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে ভাঙচুর বিহার পুলিশের! ক্ষোভ এলাকায়

পশ্চিমবঙ্গের পুলিশকে না জানিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নম্বর ব্লকের সাদলিচক গ্রামপঞ্চায়েতের সহরা বহরা এলাকায় রাস্তার ধারে থাকা বেশ কয়েকটি ঝুপড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিহার পুলিশের বিরুদ্ধে। বাধা দিতে গেলে স্থানীয় কিছু বাসিন্দাদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় তৃণমূল নেতৃত্বের দিকে অভিযোগ তুলেছেন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু। স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সাদলিচক পঞ্চায়েতে রাস্তার ধারে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছে ২০টি পরিবার। তাঁদের নিজস্ব কোনও জমি না থাকায় রাস্তার ধারেই বসবাস করেন তাঁরা। ওই বাড়িগুলির পিছনে রয়েছে এক তৃণমূল নেতার জমি। অভিযোগ, জমির সামনের অংশ ফাঁকা করে দেওয়ার জন্য মাঝেমধ্যেই ওই পরিবারগুলিকে হুমকি দিতেন ওই তৃণমূল নেতা। রাজনৈতিক পরিচয়ের সাহায্য নিয়ে টাকা দিয়ে বিহার পুলিশকে কাজে লাগিয়ে তিনি ওই বাড়িগুলি ভাঙিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনায় স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানও ওই তৃণমূল নেতাকে মদত দিয়েছে বলেও অভিযোগ।


হেনস্তার শিকার এক ব্যক্তি জানান, নিজের জমির সামনের অংশ ফাঁকা করে দখল করার জন্য গণেশ প্রামাণিক নামে ওই তৃণমূল নেতা বিহারের পুলিশ দিয়ে রাস্তার ধারের বাড়িগুলি ভেঙে দিয়েছে। বিহার পুলিশ তাঁদের কাছে দাবি করেছে, এই জায়গা নাকি বিহারের। বিষয়টি হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় জানানো হয়েছে।


উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, গতকাল হঠাৎ বিহারের কিছু পুলিশ এখানে ভাঙচুর চালিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন নিজেদের জমির সামনের অংশ ফাঁকা করতে বিহারের পুলিশকে টাকা দিয়ে এই কাজ করিয়েছে। এই মানুষগুলিকে এমন অবস্থায় ফেলে দেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী তৃণমূলের লোকজন। তাদের সঙ্গে যে পুলিশকর্মীরা এই অন্যায় কাজ করেছেন, তাঁদেরও শাস্তি হওয়া উচিত।



জেলা পুলিশসুপার প্রদীপকুমার যাদব জানিয়েছেন, তিনি জানতে পেরেছেন, বিহারের কোনও আদালতের নির্দেশে সেই রাজ্যের ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বিহার পুলিশ ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছে। বিষয়টি জানতে পেরেই ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাঁদের রিপোর্ট হাতে পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ নেওয়া হবে।




আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page