প্রতিবেশী দেশে অশান্তির ছবি, স্তব্ধ বাণিজ্য
গতকাল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফার পর থেকেই ওই দেশে অশান্তির ছবি উঠে আসছে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে তাণ্ডবের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমেও সম্প্রচারিত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের বাণিজ্য নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গতকাল দুপুর থেকেই মহদীপুর বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বন্ধ হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ লরি ছেড়ে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন ভারতীয় গাড়ি চালকরা।
ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরে অশান্তি ছড়িয়েছিল বাংলাদেশ জুড়ে। সংরক্ষণ থেকে আন্দোলনের সুর বদলে গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগে। অবশেষে গতকাল দুপুরে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। তারপর থেকেই তাণ্ডবের ছবি দেখা যায় প্রতিবেশী রাষ্ট্রে। বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মূর্তি ভাঙার ছবি দেখা যায়। চলতে থাকে ভাঙচুর। এই পরিস্থিতিতে গতকাল দুপুর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় দু’দেশের বাণিজ্য। বাংলাদেশে গাড়ি ছেড়েই বাড়ি ফিরতে শুরু করেন চালকরা।
এক লরি চালক মদন মহালদার জানান, রবিবার পেঁয়াজ নিয়ে বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। গতকাল দুপুর থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। প্রচুর লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে ভাঙচুর শুরু করে। সমস্ত দোকান বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল থেকে খাবার পাওয়া যায়নি। ক্যান্টিনে যতটুকু জল পাওয়া গিয়েছে তা দিয়েই দিন কাটাতে হয়েছে। রাতে গাড়ি ছেড়েই আমাদের দেশে ফিরে আসতে বলা হয়। আমি রাতেই ফিরে এসেছি। আরও কিছু চালক খালাসিও ফিরে এসেছেন। তবে এখনও ওপারে আমাদের কিছু লোকজন রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগও হয়নি। দেশে ফিরে খানিক স্বস্তি মিলেছে।
এক রফতানিকারক ভূপতি মণ্ডল জানান, আগে প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে প্রায় ৪০০ লরি যাতায়াত করত। কিন্তু অশান্তির পরিবেশের পর তা তিনভাগের একভাগে দাঁড়িয়েছিল। গতকাল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর বন্দর দিয়ে বাণিজ্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার পর বাংলাদেশে আমাদের ১৪২ টি লরি ছিল। গতকাল রাতে ১১২টি লরির চালক ও খালাসিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে৷ এখনও সেখানে প্রায় ৪০ জন লরি চালক ও শ্রমিক আছেন৷ এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১০ কোটি মার্কিন ডলারের ব্যবসা হয়। প্রতিদিন ভারত সরকারের ২ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়৷ বাংলাদেশে অশান্তির পরিস্থিতির ফলে বাণিজ্যে ক্ষতি হচ্ছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comentários