সরকারিভাবে মালদা স্বাধীন হয় ১৮ আগস্ট
- শুভাশিস সেন

- Aug 18, 2017
- 1 min read
Updated: Feb 24, 2023
আসলে দেশ বিভাগের সময় অর্থাৎ ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট রাডক্লিফের সীমানা সংক্রান্ত ঘোষণায় কোনও সুস্পষ্ট সরকারি নির্দেশ ছিল না। এর ফলে ১৯৪৭ সালের ১২ থেকে ১৭ অগস্ট মালদার জনগণ জানতে পারে নি যে জেলাটির ভাগ্য কি? সেজন্য ১৫ থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত ওই দুইদিনই মালদা জেলাতে উড়েছিল পাকিস্তানের পতাকা।
পূর্ব পাকিস্তানের এক ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে ছিল এই মালদা জেলা। এক ভীষন বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে দুইদিন কাটানোর পর ১৭ অগস্ট বেতারে রাডক্লিফ কমিশনের ঘোষণা প্রচারিত হয় এবং ওই দিনই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে (নোটিফিকেশন ৬৭ জিএ, তারিখ ১৭.৮.১৯৪৭) পূর্বের মালদা জেলার ১৫টি থানার মধ্যে দশটি থানা অর্থাৎ ইংরেজবাজার, মালদা, রতুয়া, হরিশ্চন্দ্রপুর, খরবা, গাজোল, হবিবপুর,বামনগোলা, মানিকচক ও কালিয়াচক ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৫ অগস্ট নয়, সরকারিভাবে মালদা জেলা স্বাধীন হয়েছিল ১৯৪৭ সালের ১৮ অগস্ট।
বাকি পাঁচটি থানা– শিবগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, ভোলাহাট, নাচোল ও গোমস্তাপুর পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়। অর্থাৎ ১৭ তারিখ পর্যন্ত মালদা জেলা পূর্ব পাকিস্তানের এক ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে ছিল। ১৮ আগস্ট জেলার শাসনভার ভূতপূর্ব পাবনার এডিএম মঙ্গলকুমার আচার্যের হাতে সমর্পিত হয়। তিনি ১৮ আগস্ট মালদা কালেক্টরেটের মাস্তুলে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
এই দিনটির স্মরণে পুড়াটুলি বাবুপাড়ায় শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা অনিমা সরকার। উপস্থিত ছিলেন এলাকার পুরপিতা অম্লান ভাদুড়ি সহ স্থানীয় বাসিন্দা ও কচিকাঁচারা।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন













Comments