সালিশি সভায় হাজির না হওয়ায় মারধর, সামাজিক বয়কট
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
- May 29
- 1 min read
পারিবারিক বিবাদ নিয়ে সালিশি সভায় হাজির না হওয়ার অপরাধে পরিবারের লোকেদের মারধরের পাশাপাশি সামাজিক বয়কটের নিদান দেওয়ার অভিযোগ গ্রামের মাতব্বরদের বিরুদ্ধে। সামাজিক বয়কটের মুখে পড়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই পরিবারের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর এলাকায়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মহেন্দ্রপুর এলাকার এক প্রৌঢ় পুলিশি অভিযোগে জানিয়েছেন, বাড়িতে আত্মীয় স্বজনদের যাতায়াত নিয়ে মেজ ছেলের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল। তারপর থেকেই বড়ো ছেলের সঙ্গে মেজ ছেলের বিবাদ চলছিল। মেজ ছেলের ষড়যন্ত্রে এনিয়ে গ্রামের মাতব্বররা গ্রামে সালিশি সভা ডাকে। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি সভায় যেতে পারেননি। গত মঙ্গলবার রাতে মেজ ছেলে গ্রামের মাতব্বরদের দিয়ে নিয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তারা তাঁকে মারধর করতে থাকে। তাঁর দুই ছেলে তাঁকে বাঁচাতে এলে মেজ ছেলে সহ মাতব্বররা দুই ছেলেকেও মারধর করতে থাকে।

চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই প্রৌঢ়ের এক ছেলে জানান, ছোট একটা ঘটনা নিয়ে মেজ ভাইয়ের সঙ্গে বাবা-মায়ের সমস্যা ছিল৷ তার জেরে মেজ ভাই বাবাকে মারধর করে৷ আমাকে আর ছোট ভাইকেও মেরেছে৷ গত পরশু রাতে মেজ ভাই শালাদের নিয়ে এসে গ্রামে টিন পিটিয়ে সালিশি সভা ডাকে৷ বাবা খুব অসুস্থ থাকায় সভায় যেতে পারেনি৷ তাছাড়া যে বাবাকে মেরেছে, সে’ই সালিশি সভা ডাকছে৷ তাই বাবা সভায় যেতে রাজি হয়নি৷ শুধুমাত্র ওই সভায় না যাওয়ায় গ্রামের সবাই আমাদের সামাজিকভাবে বয়কট করেছে৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই ঘটনার পর থেকে এলাকার কেউ ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। তাঁদের পানীয় জল সংগ্রহ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বাজারে তাঁদের কিছু বিক্রি করা হচ্ছে না। শ্রমিকরা তাঁদের জমিতে কাজ করতে যাচ্ছে না।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comentarios