দেহ নষ্ট করতে রাসায়নিক মজুত করেছিল আসিফ
বিশেষ রাসায়নিক ব্যবহার করে মা, বাবা, বোন ও ঠাকুমার দেহ পুরোপুরি নষ্ট করে দেওয়ার ছক কষেছিল আসিফ। সে জন্য জার ভরতি রাসায়নিক পদার্থ মজুতও করেছিল সে।
কিন্তু মাধ্যমিক পাস আসিফ কীভাবে রাসায়নিকের নাম জানল, একাজে কেউ তাকে সাহায্য করেছে কিনা, তার তদন্তে এগোতে গিয়ে পুলিশ বিস্ফোরক সব তথ্য হাতে পেয়েছে। কোন রাসায়নিক পদার্থ কত পরিমাণ দিলে মৃতদেহে দ্রুত পচন ধরবে, তা নিয়ে রীতিমতো গবেষণা করেছিল আসিফ। ১৯ বছর বয়সেই শুধু কম্পিউটার নয়, রসায়নে বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠার চেষ্টায় ছিল আসিফ। এজন্য আসিফ জার ভরতি রাসায়নিক পদার্থ মজুত করলেও সেই জার বন্ধু সাবিরের বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিল।
দুই বন্ধুর বাড়িতেই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি লুকিয়ে রেখেছিল আসিফ। বন্ধুদের বাড়িতেই তল্লাশি চালিয়ে ৮০ রাউন্ড কার্তুজ, ১০টি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছিল আসিফ। এই সব আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ ভিনরাজ্য থেকে জোগাড় করা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। তবে একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্র অন্য কেউ নয়, বাবা জায়েদ আলিই জোগাড় করে দিয়েছিল আসিফকে!
কিন্তু ছেলের হাতে বাবা অস্ত্র তুলে দিয়েছিল কেন? কাদের কাছ থেকেই বা সেই অস্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে ব্ল্যাকমেলিংয়ের বিষয়টি সামনে আসে। জেরাতে জানা যায়, দাদা আরিফ মোহম্মদের সঙ্গে তার বোনের এক বান্ধবীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তাদের অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে আসিফ। তারপর সেই সেক্স ভিডিওকে সামনে রেখেই আসিফ বাবাকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। ফলে ভয়েই বাবা আসিফ সব আবদার একের পর এক মিটিয়ে চলেছিলেন। এমনকি আগ্নেয়াস্ত্রের চাহিদাও পূরণ করে দেন। তবে সেই আগ্নেয়াস্ত্র যে তাঁদের মারার জন্যই আসিফ জোগাড় করতে চাইছিল, তা অবশ্য ভাবতে পারেননি জায়েদ আলি।
[ আগের খবরঃ কালিয়াচক খুন কাণ্ডের তদন্তে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments