ত্রাণ দুর্নীতিতে আত্মসমর্পণ আরও এক তৃণমূল নেতার
বন্যাত্রাণ কেলেঙ্কারিতে আবার চাঞ্চল্যকর মোড়। সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে থানায় আত্মসমর্পণ করলেন বন্যাত্রাণ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী তথা হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির নারী-শিশু ত্রাণ কর্মাধ্যক্ষ রোশনরা খাতুন। সোমবার সকালে তিনি প্রথমে থানায় পরে চাঁচল মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
প্রসঙ্গত, হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকে ২০১৭ সালের বন্যার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দুই দফায় ১৩ কোটি টাকা আসে। অভিযোগ, এই টাকা প্রকৃত উপভোক্তাদের বদলে বেশ কিছু তৃণমূল নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের পকেটে গিয়েছে। এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিমকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। বিগত সপ্তাহে সুপ্রিমকোর্ট নির্দেশ দেয় অবিলম্বে হরিশ্চন্দ্রপুর বন্যার ত্রাণ কেলেঙ্কারিতে প্রধান অভিযুক্ত বড়ুই গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান সোনামণি সাহা, হরিশ্চন্দ্রপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রোশনরা খাতুন এবং বড়ুই অঞ্চলের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার তথা প্রাথমিক শিক্ষক আফসার হোসেনকে অবিলম্বে সুপ্রিমকোর্টে আত্মসমর্পণ করতে হবে। গত সপ্তাহে হরিশ্চন্দ্রপুর বন্যার ত্রাণ কেলেঙ্কারির আরেক অভিযুক্ত বড়ুই অঞ্চলের তৃণমূল নেতা আফসার হোসেন আত্মসমর্পণ করেন। জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে তিনি দাবি করেছেন, দলের বড়োবড়ো রাঘব-বোয়াল এই কেলেঙ্কারিতে রয়েছে। তিনি নির্দোষ, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। আজ আত্মসমর্পণ করেন রোশনরা খাতুন।
কর্মাধ্যক্ষ রোশনরা খাতুন বলেন, আদালতের নির্দেশে তিনি আজ আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি নির্দোষ, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁর সই নকল করে টাকা তোলা হয়েছে। তিনি এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।
[ আরও খবরঃ যেন সিনেমা! চাঁচলে চলল ডাকাতদলের তাণ্ডব ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments