পানীয় জল নিয়ে ক্ষোভ, পরিসেবা ঠিক না হলে টাকা ফেরতের দাবি
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
- Jun 13
- 2 min read
পানীয় জলের সংযোগ নিতে খরচ করতে হয়েছে ১০ হাজার টাকা। প্রতিমাসে জলের ট্যাক্স দিতে হচ্ছে ৫০ টাকা করে। কিন্তু তারপরেও পানীয় জলের সরবরাহ নিয়ে ক্ষোভ দেখা গিয়েছে উপভোক্তাদের মধ্যে। ঘটনাটি পুরাতন মালদা পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের রসিলাদহ লক্ষ্মী কলোনি এলাকার। এদিকে, এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করছেন স্থানীয় কাউন্সিলর।
লক্ষ্মী কলোনির বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার পানীয় জলের পাইপ থেকে সুতোর মতো জল পড়ছে। প্রবল গরমে তাতে পানীয় জলের চাহিদা মিটছে না। মাস তিনেক ধরে আবার পানীয় জলের লাইন দিয়ে দুর্গন্ধযুক্ত নোংরা জল বেরোচ্ছে বলেও অভিযোগ করছেন অনেকে। অনেক সময় জলের সঙ্গে পাখির পালক বেরিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে এই পানীয় জল পান করে অসুস্থ হয়েছে বেশ কয়েকজন শিশু। সব মিলিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
এক উপভোক্তা প্রসেনজিৎ মণ্ডল জানান, টাকা দিয়ে পুরসভার পানীয় জলের সংযোগ নিয়েছি। প্রতিমাসে জলের ট্যাক্স বাবদ ৫০ টাকা করে দিচ্ছি। অথচ এখানে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছেই। দিনের পর দিন পাইপ থেকে সরু সুতোর মত জল বেরোচ্ছে। কখনও জলের সঙ্গে কল দিয়ে পায়রার পালক, কখনও মুরগির পালক বেরোচ্ছে। আমরা এমন জল চাই না৷ হয় পুরসভা পানীয় জলের সঠিক ব্যবস্থা করুক নয়তো টাকা ফিরিয়ে দিক। আমরা পুর এলাকায় বসবাস করছি, কিন্তু পুর পরিষেবা পাচ্ছি না৷

এলাকার বাসিন্দাদের পানীয় জল নিয়ে সমস্ত অভিযোগের বিষয় মেনে নিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূলি কাউন্সিলর প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী গাঙ্গুলি৷ তবে এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অনুমান করছেন তিনি। তিনি জানান, আগে এই ওয়ার্ডে জলের সমস্যা ছিল৷ আমি কাউন্সিলর হওয়ার পর পানীয় জলের সমস্যা অনেকটা মিটিয়েছি৷ লক্ষ্মী কলোনিতে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে, ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে আমি তার তদন্ত করার চেষ্টা করব৷ গরমের সময় জলের একটু সংকট আছে৷ সেটা লিখিতভাবে পুরসভায় জানানো হয়েছে৷ তবে কল দিয়ে পাখির পালক বা নোংরা বেরোনোর অভিযোগ এখনও আমাকে কেউ জানাননি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক চক্রান্তও থাকতে পারে৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments