চন্দ্রিল বললেন ট্যালেন্টের আধার কার্ড নেই
top of page

চন্দ্রিল বললেন ট্যালেন্টের আধার কার্ড নেই

রাতের বিছানায় শুয়ে, জানলার ফাঁক দিয়ে চাঁদের বুড়ি দেখতে দেখতে, নিজের নাম ভিয়েতনাম ভাবতে ভাবতে, আপন ট্যালেন্টের ভুঁড়িতে হাত বোলাতে বোলাতে ‘আমারও অনেক কিছুই হোতে পারত’ এমনটা মনে হয়নি যাঁর, তিনি আর যাই হোন, বাঙালি নন৷ কিন্তু ভুঁড়িতে হাত না বুলিয়ে দিয়ে সেই ট্যালেন্টকে চাউমিন খাইয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে পরস্ত্রীকাতর করে তুললেন চন্দ্রিল ভট্টাচার্য৷ মুক্তির ১৫ দিনের মধ্যেই চন্দ্রিলের ‘ট্যালেন্ট’কে হিট করেছেন লক্ষাধিক মানুষ৷ ছবিটি নিয়ে এখন যা মাতামাতি, তাতে চন্দ্রিলের সাক্ষাৎকার না ছাপলে আমাদের মালদা-র ট্যালেন্ট নিয়ে প্রশ্ন উঠত বই-কি৷


গীতিকার, সাংবাদিক, চিত্র পরিচালক, লেখক- কোন পরিচয়ে ডাকলে বেশি খুশি হবেন?


চিত্র পরিচালক, কারণ এই যুগে এই ডাকটার গ্ল্যামারই সবচেয়ে বেশি৷ কিন্তু মুশকিল হল, মাত্র দুটো ছোটো ছবি করে ওই ডাকের যোগ্য হয়ে ওঠা যায় না৷ তাই লেখক ডাকটাই ভালো লাগিয়ে নিয়েছি৷

এখন কী পড়ছেন?


রাশিফল৷

সমসাময়িক বাংলা সাহিত্যে কার লেখা পড়তে ভালো লাগছে ও কেন?


সাধারণত আমি কিছুই পড়ি না, বই খুলে ঢুলি৷ বাংলা বই খুললে ঢুলুনির চান্স কমে যায়, কারণ ভাষাটা ভালো লাগে৷ তাই সমসাময়িক বাংলা সাহিত্য পড়া হয়েই ওঠে না৷

‘ট্যালেন্ট’ এক জায়গায় আত্মহত্যা করতে চেয়েছে৷ সে যদি আত্মহত্যা করত৷তবে?


তবে ছবিটা কমেডি না হয়ে ট্র্যাজেডি হত৷ কবিরও মেজাজ খুব খিঁচড়ে যেত, কবির স্ত্রীও আচমকা খ্যাতি ও প্রতিপত্তি পেতেন না, গোমড়া মুখে দু’জনে জীবন কাটাতেন৷ তাছাড়া পুলিশও ট্যালেন্টের মৃতদেহ নিয়ে খুব অশান্তি করত, কারণ তার আধার কার্ড নেই৷


চন্দ্রিল ভট্টাচার্যের ছবি ‘ট্যালেন্ট’, দৈর্ঘ্য – ১৯ মিনিট ১৯ সেকেন্ড

 


‘রবীন্দ্রনাথ শুধু চিঠিতেই স্মার্ট’ আপনার বক্তব্যটি আবার শুনব৷


দশ বছর আগে বলা বক্তব্যের কিছুই এখন মনে নেই৷ এমনকি এই কথাটি বলেছিলাম বলেই মনে পড়ছে না৷ এই কথার কী কেন ও কীভাবে জানতে গেলে ইউটিউবে গিয়ে সেই সাক্ষাৎকারটা শুনে নিতে হবে৷

বিগত এক বছরে বাংলা সিনেমা এখনও যা মনে পড়লে বলতে ইচ্ছে হয় ‘দারুণ’?


‘আসা যাওয়ার মাঝে’ মনে পড়লে দারুণ বলতে ইচ্ছে হয়৷ কারণ এই ছবিতে পরিচালক বাংলার হালে-চালু চিত্রভাষা থেকে সম্পূর্ণ বেরিয়ে এসে নিজের ভাষা প্রতিষ্ঠা করার যে অসামান্য সাহস ও স্পর্ধা দেখিয়েছেন, সেই ভাষাকে যে প্রতিভার দাপটে প্রয়োগ করেছেন, আর জীবনের আশ্চর্য খুঁটিনাটিকে যে চমকপ্রদ নৈপুণ্যে লক্ষ করেছেন, তা দুরন্ত৷

মানুষের খাদ্যাভ্যাসে নিয়ন্ত্রণ কতটা তেতো করছে জিভকে?


নিয়মিত চিরতার জল না খেলে এমন কিছু তেতো করছে না৷

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা কতটা প্রয়োজন একজন লেখকের? ভার হয়ে যায় নাকি?


বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে খুব একটা প্রয়োজন নেই! হ্যাঁ, যে কোনো পৃষ্ঠপোষকতাই মাঝে মাঝে ভার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বিলক্ষণ আছে, কারণ পিঠে যে সুড়সুড়ি দিতে পারে সে পিঠে বন্দুকও ঠেকাতে পারে৷ তা ছাড়া শয়তান যখন ঝাঁপি উলটে সুখ দেয়, তার খাজনা হিসেবে আত্মা কিনে নেওয়ার বদভ্যাস তার আছে৷ তবে, কোনো পৃষ্ঠপোষকতা না থাকার বেদনা বেশি, নাকি পৃষ্ঠপোষকতার ফলে বিবেক-কামড়ানির যন্ত্রণা বেশি, তা লেখকদের দেখলে বোঝা যায় না৷


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page