শিশুকে যৌন নির্যাতন! জুতোর মালা পড়ানো হল অভিযুক্তকে
টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরার পথে এক শিশুর উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে চাঁচলের চন্দ্রপাড়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চাঁচল থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় ওই নাবালিকা টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরার সময় চন্দ্রপাড়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার এক ব্যক্তি তাকে বিস্কুটের প্রলোভন দেখিয়ে রাস্তা থেকে টেনে বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর শিশুটির সাথে যৌন নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। শিশুটির চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে এলাকার মানুষজন জড়ো হয়। সুযোগ বুঝে সেসময় ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্ত প্রৌঢ়। পরে তাকে গ্রামবাসী বাড়ি থেকে টেনে বের করে মারধর করে। গলায় জুতোর মালা পরিয়ে এলাকায় ঘোরানোও হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
[ আরও খবরঃ দোকানে হানা, মাদক বিক্রেতাদের কঠোর বার্তা পুলিশের ]
চাঁচলের আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় বছর সাতেকের ওই শিশু গ্রামের এক শিক্ষকের কাছে টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল। অভিযুক্ত ব্যক্তি শিশুটির প্রতিবেশী। দুই সন্তান আছে তার। মেয়ে বিবাহিত এবং ছেলের পৃথক সংসার। বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন তিনি। বাড়ির সামনে একটি চায়ের দোকানের ব্যবসা রয়েছে তার। শিশুকে রাস্তায় একলা পেয়ে বিস্কুট দেওয়ার নাম করে তাকে বাড়িতে নিয়ে যায় ওই প্রৌঢ়। তখন বাড়িতে প্রৌঢ়ের স্ত্রী ছিলেন না। সেখানেই শিশুর উপরে নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা চাউর হতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এলাকাবাসী। গলায় জুতোর মালা পরিয়ে শুরু হয় গণপ্রহার। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন বাসিন্দারা।
নির্যাতিতা শিশুটির বাবা পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। এদিন তার মা বলেন, ওইটুকু মেয়ের সঙ্গে কেউ যে এমন করতে পারে ভাবতেই পারছি না। এদিকে শিশুর উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ ও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সমাজকর্মীরা। চাঁচলের এক সমাজকর্মী আব্দুর রশিদ বলেন, অনেক সময় হাতেনাতে ধরা পড়ার পরেও সাক্ষী প্রমাণের অভাবে অনেক অভিযুক্তকেই ছাড়া পেতে শোনা যায়। এই ঘটনায় পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এমন উদাহরণ রাখতে হবে যাতে এমন অন্যায় করার কথা কেউ ভাবতেও ভয় পায়।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments