চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে জমি হরফের অভিযোগ
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
- Mar 28
- 1 min read
চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক আদিবাসীর জমি হরফ করে নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের হবিবপুর ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে৷ অভিযোগ, তৃণমূলের ব্লক সভাপতির পাশাপাশি সরকারি আধিকারিকরাও মিথ্যে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন৷ গোটা ঘটনা জানিয়ে জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই আদিবাসী। ঘটনাটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক। এদিকে, সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা।
হবিবপুরের জাজৈল গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা শ্রীনাথ হেমব্রম। তাঁর দাবি, বামফ্রন্টের জমানায় তাঁরা ৪০ শতক জমির পাট্টা পান৷ প্রায় দেড় বিঘা ওই জমিতে চাষাবাদ করেই জীবনযাপন করছিলেন তাঁরা। বছর দেড়েক আগে তৃণমূলের হবিবপুর ব্লক সভাপতি কিষ্ট মুর্মু, স্থানীয় বিডিও, বিএল অ্যান্ড এলআরও সহ পিএইচই দফতরের কয়েকজন আধিকারিক তাঁদের ওই জমিতে পানীয় জলের পাম্প এবং বর্জ্য প্রকল্প করা হলে তাঁদের পরিবারের দু’জনকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷

শ্রীনাথবাবুর ছেলের অভিযোগ, চাকরির মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার জমি নিয়ে নেওয়া হয়েছে৷ জমি নিয়েছে পিএইচই দফতর৷ কিন্তু এখন কেউ আমাদের কথা শুনতে চাইছে না৷ আমরা চাকরিও পাচ্ছি না৷ শ্রমিকের কাজ করে এখন কোনওমতে সংসার চালাচ্ছি৷ মাঠে কাজ করে দিনে ৩০০ টাকা মজুরি পাই৷ প্রতিদিন কাজও জোটে না৷ ওই জায়গার কাগজপত্র সব আমাদের কাছে আছে৷ হয় আমাদের চাকরি দেওয়া হোক, নইলে জমি ফেরত দেওয়া হোক৷
ঘটনাপ্রসঙ্গে কিষ্ট মুর্মু জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন৷ কারণ, ওই জমিতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের তরফে পাম্প বসানো হয়েছে৷ ওই দপ্তর কাকে কাজ দেবে কিংবা দেবে না, সেটা তাদের বিষয়৷ আমাকে অকারণে এই বিষয়ে জড়ানো হচ্ছে৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments