মাফিয়া চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ, তৃণমূলের তরফে মিলল সংবর্ধনা
top of page

মাফিয়া চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগ, তৃণমূলের তরফে মিলল সংবর্ধনা

মাটি মাফিয়া চক্রে রতুয়া থানার আইসি ও অন্যান্য অফিসারদের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছিলেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগের পরেই ছুটিতে চলে গিয়েছিলেন রতুয়া থানার আইসি। এদিকে, রতুয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি আজ পালটা দাবি করেছেন, মাটি মাফিয়াদের সঙ্গে আইসি নয়, খোদ দলীয় বিধায়কই জড়িত।


উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল সমরবাবু সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করেছিলেন, পুলিশের মদতে মহানন্দটোলা গ্রামপঞ্চায়েতের নাককাট্টি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে অবাধে মাটি কাটছে মাফিয়ারা। এই মাফিয়ারাজের সঙ্গে রতুয়া থানার আইসি, এসআই সহ অন্যান্য কর্মীরাও জড়িয়ে রয়েছেন। সেদিনই দলের একাংশের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে মাটি কাটা নিয়ে সরব হয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনও।


এই অভিযোগের পরেই ছুটিতে চলে যান রতুয়া থানার আইসি সুবীর কর্মকার। তিনি বদলির তদ্বিরও শুরু করেন। তা জানতে পেরে রতুয়ার তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁকে ফের রতুয়া থানায় যোগ দেওয়ার আর্জি জানান। আজ সুবীরবাবু রতুয়া থানায় যোগ দিতেই তাঁকে পুষ্পস্তবক দিয়ে সংবর্ধনা জানান ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব।


রতুয়া ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফজলুল হক বলেন, থানার আইসি ও পুলিশকর্মীদের বিধায়ক যে অভিযোগ তুলেছিলেন তা ভিত্তিহীন। বিধায়কের অভিযোগের পর আইসি এই থানা থেকে বদলি নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে উনি আবার এই থানায় যোগ দিয়েছেন।



তিনি আরও বলেন, সুবীরবাবু রতুয়া থানার দায়িত্ব নেওয়ার পর মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য অনেকটা কমেছে। বাঁধ বা ব্রিজের নীচ থেকে মাটি এখন বিক্রি হয় না। তবে, ২০১৬ সালে ব্রিজ তৈরি হওয়ার সময় সমরবাবু মহানন্দটোলায় থাকতেন। সেই সময়ই ব্রিজের নীচ থেকে কার ইশারায় হাজার হাজার লরি মাটি বিক্রি হয়েছে তা সকলে জানে। সম্প্রতি বিধায়কের ছেলে এবং স্ত্রী মারা গিয়েছেন। তাঁর মাথা কাজ করছে না। বয়স হওয়ায় উলটো পালটা কথা বলছেন। আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে, তিনি থানায় অন্যায় কিছু আবদার নিয়ে এসেছিলেন। তাঁর কথামতো আইসি ধৃতদের না ছাড়ায় তিনি এভাবে আইসির বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনেছেন।




আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page