পণের দাবিতে মারধর-প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ
আইন মোতাবেক বিয়ে করে প্রেমিকাকে বাড়ি নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় গত ২৭ মার্চ পুলিশের অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা গৃহবধূ। অভিযোগ বিষয়টি জানতে পারার পর থেকে নির্যাতিতা গৃহবধূ ও পরিবারের লোকদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়ি এলাকায়।
জানা গিয়েছে, পুরাতন মালদা পুরসভার মঙ্গলবাড়ি পাড়াসামুনডি এলাকার বাসিন্দা ফাতেমা খাতুনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল সালাম শেখের। সালাম শেখের বাড়ি পুরাতন পুরসভার মঙ্গলবাড়ি খয়েরাতি পাড়া এলাকায়। গত ৭ নভেম্বর মুসলিম ধর্ম মতে দুইজন রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেন। অভিযোগ, বিয়ের পর কয়েক মাস ধরে বাবার বাড়িতেই ছিলেন ফতেমা খাতুন এবং জামাই সালাম শেখ। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য স্বামীকে বারবার বলেন ফাতেমা। কিন্তু সালাম স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া নিয়ে টালবাহানা করে। স্বামী ছলনা বুঝতে পেরে গত বছর ডিসেম্বর মাসে নিজেই আগ্রহ দেখিয়ে শ্বশুরবাড়ি যান ফাতেমা। তারপরেই শুরু হয় অত্যাচার। দুই লক্ষ টাকা পণের দাবি করে নববধূকে ব্যাপক মারধর করে স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। কোনোরকমে শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে নিজের বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন ফাতেমা।
ফাতেমা বলেন,
গতবছর বিয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে একাধিকবার সহবাস হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছি। নানান অন্তরঙ্গের ছবি মোবাইলে বন্দি রয়েছে। রেজিস্ট্রি করেও আমরা বিয়ে করেছি। কিন্তু স্বামীর বাড়ির লোকেরা মানতে চাইছে না। দুই লক্ষ টাকা পণের দাবি করে মারধর করছে। অবশেষে মঙ্গলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ননদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছি। তারপর থেকেই ক্রমাগত ফোন করে খুন করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবাড়ি ফাঁড়ির তদন্তকারী পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তর বাড়িতেও কয়েকবার যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাড়িতে কেউ না থাকায় তাদের ধরা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা শুরু হয়েছে।
[ আগের খবরঃ গাজোলে হাতেনাতে ধরা পড়ল কচ্ছপের মাংস বিক্রেতা ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments