রাতের অন্ধকারে ফাইল চুরির চেষ্টার অভিযোগ, সংঘর্ষ তৃণমূল-সিপিএমের
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
- Mar 28, 2023
- 1 min read
রাতের অন্ধকারে পঞ্চায়েত অফিস থেকে ফাইল লোপাট করার অভিযোগে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল এবং সিপিএম সমর্থকেরা। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন এক ডিওয়াইএফআই কর্মী। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
অভিযোগ, গতকাল রাতে পঞ্চায়েত সেক্রেটারি বাপি বিশ্বাস, পঞ্চায়েত এক্সিকিউটিভ বিপ্লব চক্রবর্তী ও পঞ্চায়েত সহায়ক দীপঙ্কর প্রামাণিক পঞ্চায়েত অফিস থেকে ১০০ দিন প্রকল্পের ফাইল লোপাট করার চেষ্টা করার জন্য রাতে পঞ্চায়েত অফিস খুলে ছিলেন। রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুই ডিওয়াইএফআই কর্মী ও এক পঞ্চায়েত সদস্য পঞ্চায়েতের গেট খোলা দেখতে পেয়ে সন্দেহ বোধ করেন। তাঁদের দেখে পঞ্চায়েতের গেটে তালা মেরে পালানোর চেষ্টা করেন পঞ্চায়েত সেক্রেটারি বাপি বিশ্বাস। এতেই তাঁদের সন্দেহ আরও তীব্র হয়। এরপরই আড়ালে থাকা তৃণমূল কর্মীরা দুই ডিওয়াইএফআই কর্মী ও ওই পঞ্চায়েত সদস্যের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। প্রতিরোধ করতে গিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন ডিওয়াইএফআই কর্মী মোহম্মদ ইরফান। এনিয়ে দুই পক্ষই হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

ডিওয়াইএফআই কর্মীদের অভিযোগ,
সুলতাননগর গ্রামপঞ্চায়েতের নামে ১০০ দিন প্রকল্পের ১০ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। আগামী ৭ এপ্রিল সেই মামলার প্রথম শুনানি রয়েছে। জেলে যাওয়ার ভয়ে প্রধান ও উপ-প্রধানের সহযোগিতায় ফাইলগুলো লোপাট করার চেষ্টা চলছিল। প্রতিবাদ করায় তৃণমূল বাহিনী তাঁদের ওপর হামলা চালায়।
যদিও বামফ্রন্টের লোকজন দলবল নিয়ে পঞ্চায়েতে ভাঙচুর করেছে বলে পালটা অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comentários