কংগ্রেস নেতাকে নগ্ন করে থানায় বসিয়ে রাখার অভিযোগ
কংগ্রেস নেতাকে নগ্ন করে থানায় বসিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল মানিকচক থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। এনিয়ে ইতিমধ্যে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব।
গত ২৩ মে মানিকচক ব্লকের ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী সাজাহান শেখকে গ্রেফতার করে মানিকচক থানার পুলিশ৷ পুরোনো একটি মামলার ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়৷ ওই একই জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয় আরেক কংগ্রেস নেতা ফিটু শেখকেও৷ অভিযোগ, ওই রাতেই সাজাহান শেখকে প্রায় ২ ঘণ্টা বিবস্ত্র করে থানায় রাখা হয়। ব্যাপক মারধরও করা হয়। পরদিন তাঁদের জেলা আদালতের মাধ্যমে ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেয় মানিকচক থানার পুলিশ৷ পরদিন সমস্ত ঘটনা জানিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন সাজাহানের স্ত্রী তথা ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কাদবানু বিবি। পুলিশি অভিযোগে তিনি জানান, ২৩ তারিখ রাতে এনায়েতপুর থেকে তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করেন মানিকচক থানার আইসি পার্থসারথি হালদার৷ ঘটনাস্থল থেকেই মারতে মারতে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর স্বামীকে৷ থানায় দু’ঘণ্টা সম্পূর্ণ নগ্ন করে রাখার পাশাপাশি বেধড়ক মারধরও করা হয় তাঁর স্বামীকে৷ এমনকি সেই দৃশ্য ভিডিয়ো করে থানার কনস্টেবল ও সিভিক ভলান্টিয়াররা। সেই ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
গোটা ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন মানিকচকের প্রাক্তন বিধায়ক মোত্তাকিন আলম। মানবাধিকার কমিশনের পাশাপাশি হাইকোর্টে যাওয়ার কথাও উঠে এসেছে তাঁর গলায়। এদিকে, এই ঘটনায় পুলিশি ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিপিআইএমের জেলা কমিটির সদস্য তথা সিটুর মালদা জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহা৷
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments