পণের দাবিতে বধূকে অ্যাসিড খাইয়ে খুনের অভিযোগ
- আমাদের মালদা ডিজিট্যাল
- 13 minutes ago
- 1 min read
পণের দাবিতে বধূকে অ্যাসিড খাইয়ে খুন করার অভিযোগ স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে৷ সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদার পালপাড়া মণ্ডলপাড়া এলাকায়৷ পরিবারের তরফে এনিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷
মৃত বধূর নাম গৌরি পাল (২২)৷ তাঁর বাবার বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানা এলাকায়৷ ২০২২ সালে পুরাতন মালদার পালপাড়া এলাকার যুবক প্রশান্ত পালের সঙ্গে বিয়ে হয় গৌরির৷ তাঁদের দেড় বছরের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে৷ পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বিয়ের সময় নগদ ২ লক্ষ টাকা সহ ৫ ভরি সোনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও যৌতুকের চাহিদা বাড়তে থাকে প্রশান্ত সহ বাড়ির লোকজনের। এনিয়ে গৌরির ওপর চলতে থাকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। সোমবার রাতে গৌরিকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। আজ ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় গৌরির।

গৌরির মামা পরিতোষ পালের দাবি, সাত মাসের গর্ভবতী অবস্থায় ভাগ্নিকে শ্বশুরবাড়ি থেকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছিল৷ আমরা ওকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলাম। বাচ্চা হওয়ার পর ফের জামাইয়ের বাড়িতে রেখে যাই৷ তারপর ফের অশান্তি৷ পণের জন্য ভাগ্নির ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালানো হত। গতকাল রাত ১১টা নাগাদ খবর আসে, ভাগ্নি অ্যাসিড খেয়ে নিয়েছে। আমরা এনিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে চলেছি।
গৌরির শাশুড়ি দীপালি পাল জানান, গতকাল গৌরি গ্যাসে ভাত রান্না করেছিল৷ হাঁড়ির গায়ে কালি পড়ে যাওয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কিছু কথা কাটাকাটি হয়েছিল৷ আমিও ইয়ার্কি মেরে বৌমাকে বলেছিলাম, তার মামারই গ্যাসের দোকান আছে, সেখানে গ্যাস নিয়ে গেলেই ঠিক করে দেবে। এরপর বৌমা আর কিছু খায়নি৷ বিয়ের দিন থেকেই আমার ছেলেকে বৌমার অপছন্দ৷ এনিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝামেলাও হত৷ তবে খুন করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments