গৃহবধূর পেটে লাথি মেরে ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ
পারিবারিক বিবাদের জেরে গৃহবধূর পেটে লাথি মেরে ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ কাকা-শ্বশুরের বিরুদ্ধে৷ এই ঘটনায় নির্যাতিত বধূর স্বামী সামসী পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ জানালেও পুলিশ তার রিসিভ কপি দেয়নি বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রতুয়া ১ নম্বর ব্লকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের ভাইপো বছর দেড়েক আগে দক্ষিণ ২৪ পরগণার একটি হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করেন। কিন্তু হিন্দু মেয়েকে বাড়ি বৌ হিসেবে মানতে চায়নি পরিবারের লোকজন। বিয়ের কিছুদিন পরেই ওই মেয়েকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপরেই ফের এক মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করে ওই যুবক। সেই খবর পেয়েই শ্বশুরবাড়িতে ছুটে আসেন প্রথম স্ত্রী। কিন্তু তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এনিয়ে সামসী ফাঁড়ির দ্বারস্থ হন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ও গ্রামের লোকেদের চাপে স্বামীর বাড়িতে আশ্রয় পান প্রথম স্ত্রী। সেই ঘটনা থেকেই কাকা-শ্বশুরের সঙ্গে আক্রান্ত বধূর বিবাদ৷
নির্যাতিতা বধূর অভিযোগ, মাস তিনেক আগে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাকা-শ্বশুর ও তাঁর বাড়ির লোকজন মারধর করেন৷ সেই সময়ও আমি সামসী ফাঁড়ি সহ আদালতে অভিযোগ দায়ের করি৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত আদালত কিংবা পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি৷ গত ১৯ জুন রাতে আমি ও মেয়ে শৌচকর্ম করতে বেড়িয়েছিলাম৷ হঠাৎ পিছন থেকে মুখ চেপে ধরে, গলায় ফাঁস দিয়ে আমাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে কাকাশ্বশুর৷ চিৎকারে লোকজন ছুটে এলে পেটে লাথি মেরে পালিয়ে যান তিনি৷ আমি সেখানেই অজ্ঞান হয়ে যায়। এরপর সামসী হাসপাতালে আমার জ্ঞান ফেরে৷ সেখান থেকে আমাকে চাঁচল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ পেটের ছবি করার পর জানতে পারি, আমার তিন মাসের গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু হয়েছে৷
যদিও অভিযুক্ত কাকা-শ্বশুর সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
コメント