প্রমাণ লোপাটে পঞ্চায়েত থেকে নথি পাচারের চেষ্টা? উঠছে প্রশ্ন
সাতসকালে গ্রামপঞ্চায়েত থেকে বস্তা বস্তা নথি পাচারের চেষ্টার অভিযোগ চাঁচল-২ নম্বর ব্লকের ভাকরি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়৷ সন্দেহ হওয়ায় ভ্যান আটকে চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দুর্নীতির প্রমাণ লোপাটেই কি নথিপত্র সরানোর চেষ্টা চলছিল, এমনই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাপরিষদের সভাধিপতি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,
আজ সকালে এক পঞ্চায়েত কর্মী সুবোধ ঘোষের সাহায্যে বস্তা ভরতি নথিপত্র ভ্যানে তোলা হচ্ছিল৷ সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা বস্তা খুলে দেখেন তাতে রয়েছে জবকার্ডের আবেদনপত্র, একাধিক টেন্ডার ও আবাস যোজনার নথিপত্র। বেশিরভাগ নথিই চলতি বছরের৷ এরপরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সরকারি নথিপত্র কোনোভাবেই নষ্ট করা যায় না। তারপরে বেশিরভাগ নথিই এই আর্থিকবর্ষের। সম্ভবত কোনো প্রমাণ লোপাটে এই কাজ করা হচ্ছিল।
পঞ্চায়েত প্রধান সুমিত দাস জানান, দফতরকে পরিষ্কার রাখতেই পুরোনো কাগজপত্র ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল৷ গ্রামবাসীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। মালদা জেলাপরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন জানান, ভাকরি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় গ্রামবাসীরা অভিযোগ তুলেছেন, পঞ্চায়েত থেকে নাকি নথি সরানো হচ্ছিল৷ বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।
[ আরও খবরঃ অবশেষে পুলিশের জালে কুখ্যাত ডাকাত ]
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments