মদ্যপানে প্রতিবাদ, স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা স্বামীর
top of page

মদ্যপানের প্রতিবাদ, স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা স্বামীর

বুধবার রাতে মালদা শহরের গয়েশপুর এলাকায় মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করল স্বামী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূ মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় এদিন ইংরেজবাজার থানায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন শাশুড়ি। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক সেই ব্যাক্তি। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।


আহত ওই বধূর নাম তাপসী ঘোষ, বয়স ২৯। বাবার বাড়ি পুরাতন মালদার কোর্ট স্টেশন এলাকায়। বছর বারো আগে তাপসীর বিয়ে হয় মালদা শহরের গয়েশপুর এলাকার যুবক তপন ঘোষের সঙ্গে। তপন পেশায় দর্জি। তাদের ১০ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। তাপসীর মা সরস্বতী ঘোষের অভিযোগ, তপন যে মদে আসক্ত তা বিয়ের আগে তাঁরা জানতে পারেননি। বিয়ের পর থেকেই তার মদ্যপানের প্রতিবাদ করত তাঁর মেয়ে। এনিয়ে মেয়ে-জামাইয়ের মধ্যে প্রায়শই ঝামেলা হত। দু'একবার ছেলেকে নিয়ে তাপসী তাঁদের বাড়িতেও চলে আসে। কিন্তু তার ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাঁরাই মেয়েকে বুঝিয়ে স্বামীর ঘরে পাঠান। কিন্তু তার ফল যে এমন হবে তা তাঁরা কেউ ভাবতেও পারেননি।


স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা স্বামীর

শুধু মদ্যপানই নয়, জুয়া খেলার নেশাও ছিল তাঁর জামাইয়ের। বুধবার রাতেও তপন আকণ্ঠ মদ্যপান করে ঘরে ফেরে।


তাপসীর বাবা দুলাল ঘোষের অভিযোগ, শুধু মদ্যপানই নয়, জুয়া খেলার নেশাও ছিল তাঁর জামাইয়ের। বুধবার রাতেও তপন আকণ্ঠ মদ্যপান করে ঘরে ফেরে। এনিয়ে তার সঙ্গে ফের বচসায় জড়িয়ে পড়ে তাঁর মেয়ে। ফের মদ্যপানের জন্য সে তাপসীর কাছে টাকা চায়। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তপন নিজের স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাপসীর চিৎকারে পড়শিরা তাদের বাড়িতে ছুটে যান। তাঁরাই তাঁদের মেয়ের গায়ের আগুন নিভিয়ে মালদা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সেখান থেকে পালিয়ে যায় তপন। তাকে আর এলাকায় দেখা যায়নি। গোটা ঘটনা জানিয়ে এদিন তাঁর স্ত্রী তপনের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইংরেজবাজার থানার পুলিশ পলাতক তপনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত তার সন্ধান পায়নি।


আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page