top of page

দুর্নীতি কাণ্ডে এবার আত্মসমর্পণ তৃণমূলী প্রধানের

বন্যাত্রাণ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার আত্মসমর্পণ করলেন মূল অভিযুক্ত। আজ চাঁচল মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের বরুই গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান। এর আগে পরপর দুদিন আরও দুই অভিযুক্ত আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।


উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের বন্যার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকে দুই দফায় ১৩ কোটি টাকা আসে। অভিযোগ, এই টাকা প্রকৃত উপভোক্তাদের বদলে বেশ কিছু তৃণমূল নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের পকেটে গিয়েছে। এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিমকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। বিগত সপ্তাহে সুপ্রিমকোর্ট নির্দেশ দেয় অবিলম্বে হরিশ্চন্দ্রপুর বন্যার ত্রাণ কেলেঙ্কারিতে প্রধান অভিযুক্ত বরুই গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান সোনামণি সাহা, হরিশ্চন্দ্রপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রৌশনরা খাতুন এবং বরুই অঞ্চলের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার তথা প্রাথমিক শিক্ষক আফসার হোসেনকে অবিলম্বে সুপ্রিমকোর্টে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এর আগে দুই অভিযুক্ত আত্মসমর্পণ করেন। আজ চাঁচল মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন পঞ্চায়েত প্রধান সোনামণি সাহা।


সোনামণিদেবী জানান,

আদালতের নির্দেশে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। এই ত্রাণ কেলেঙ্কারিতে অনেক বড়ো মাথা জড়িত রয়েছে। ঘটনার সিবিআই তদন্ত চান তিনি। সিবিআই তদন্ত হলে অনেক সত্যতা সামনে আসবে।


তৃণমূলের হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার চেয়ারম্যান সঞ্জীব গুপ্তা জানান, দল দুর্নীতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াবে না। আইন আইনের পথে চলবে।


বিজেপির উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক রূপেশ আগরওয়ালা জানান, তৃণমূল মানুষের সঙ্গে খেলেছে। এবার মানুষ ও বিরোধীরা তৃণমূলের সঙ্গে খেলবে। এই কেলেঙ্কারির বড়ো বড়ো নেতার নাম সামনে আসা শুধু সময়ের অপেক্ষা।



আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

Comments


বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page