পণের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন করে খুনের অভিযোগ
পণের দাবিতে গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে ইলেকট্রিক শক দিয়ে নির্যাতন। পরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুরের শ্রীপুর এলাকায়। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মৃত গৃহবধূর নাম জুলি পারভীন (২০)। বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুরের খরা গ্রাম এলাকায়। জানা গিয়েছে, প্রায় ৯ মাস আগে শ্রীপুরের যুবক জাহাঙ্গির আলমের সঙ্গে বিয়ে জুলির। অভিযোগ, বিয়ের সময় যৌতুক দেওয়ার পরেও পণের জন্য জুলির ওপর চাপ দিত স্বামী সহ পরিবারের লোকজন। দিনের পর দিন পণের দাবি বাড়তে থাকে। দাবিমতো পণ দিতি না পারায় বাড়তে থাকে জুলির ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনও। গতকাল রাতে পণের দাবিতে হাত-পা বেঁধে জুলিকে ইলেকট্রিক শক দিয়ে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। পরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করা হয় বলেও অভিযোগ তুলেছেন জুলির পরিবারের লোকজন। এই অভিযোগে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় পাঁচজনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন লোকজন।
জুলির পরিবারের সদস্যদের দাবি, দিনের পর দিন পণের দাবিতে জুলির ওপর নির্যাতন করা হত। সম্প্রতি ১ লক্ষ টাকা দাবি করেছিল জুলির শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সেই টাকা দিতে না পারায় গতকাল রাতে জুলির হাত-পা বেঁধে ইলেকট্রিক শক দিয়ে নির্যাতন চালানো হয়। পরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে জুলিকে হত্যা করা হয়েছে। সমস্ত ঘটনা জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন পরিবারের লোকজন।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Comments