আর্থিক দুর্নীতির মামলা করায় খুনের অভিযোগ, শুরু রাজনৈতিক তরজা
top of page

আর্থিক দুর্নীতির মামলা করায় খুনের অভিযোগ, শুরু রাজনৈতিক তরজা

কলকাতা হাইকোর্টে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির মামলা করেছিলেন ভাই। এরপরেই কালীপুজোর মেলায় অভিযোগকারীর দাদাকে খুনের অভিযোগ ওঠে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ। এনিয়ে গ্রামে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এনিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিজেপি সাংসদ।


উল্লেখ্য, কালীপুজোর একদিন পর বাড়ি থেকে ২০০ মিটার দূরে একটি আমবাগান থেকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ধনঞ্জয় সরকারকে (৫২)৷ তিনি গাজোল ব্লকের বৈরগাছি ২ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের খোসলাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। মালদা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। এনিয়ে প্রধান সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গাজোল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ধনঞ্জয়বাবুর পরিবারের সদস্যরা৷


ধনঞ্জয়বাবুর ছেলে পরিতোষ সরকার জানান, কালীপুজোর একদিন পর গ্রামে মেলা বসে। সেই মেলায় তাঁরাও গিয়েছিলেন। তাঁরা দুই ভাই বাড়ি ফিরে এলেও ধনঞ্জয়বাবু মেলায় ছিলেন। রাত একটা নাগাদ মেলার মধ্যেই প্রধান সুবোধ সরকারের সঙ্গে তাঁদের বাবার ঝামেলা হয়৷ ভোর রাতে গ্রামের এক প্রতিবেশী ফোন করে জানান, তাঁদের বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় বাগানে পড়ে রয়েছেন। মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁদের বাবার মৃত্যু হয়। কিছুদিন আগে তাঁরা নিজেদের জমিতে একটি পুকুর খনন করেছিলেন৷ প্রধান সেই পুকুরকে ১০০ দিনের কাজে স্কিম ধরে ৪ লক্ষ ১২ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে৷ সেই ঘটনা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছে৷ সেই মামলার জেরে প্রধান মদ্যপ অবস্থায় মাঝেমধ্যেই তাঁদের বাবাকে হুমকি দিত৷ তাঁদের ধারণা, খুনের পিছনে প্রধানের হাত রয়েছে৷



অভিযুক্ত প্রধান সুবোধ সরকার জানান, ধনঞ্জয় সরকারের সঙ্গে তাঁর কোনও ঝামেলা নেই৷ কালীপুজোর মেলায় গানের সময় গ্রিনরুমে থাকা নিয়ে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছিল৷ তারপর তাঁরা সেখান থেকে চলে যান৷ বিজেপির টিকিটে জিতে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বিজেপির লোকজন তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মিথ্যে অভিযোগ তুলছে।


বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ধনঞ্জয় সরকারকে খুনের পেছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে৷ কারণ, তিনি ১০০ দিনের কাজে লুটের প্রতিবাদ করেছিলেন৷ এনিয়ে হাইকোর্টে মামলাও চলছে৷ তিনিই ছিলেন এই মামলার সাক্ষী৷ তাই তাঁকে খুন করা হয়েছে।


রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি জানান, পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখছে। দোষীরা যে দলেরই হোক তাদের শাস্তি হবে।




আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page