বার্লো স্কুলে অ্যাবসেন্ট মেসেজ পদ্ধতি
মালদা জেলার স্কুলগুলির মধ্যে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে বার্লো গার্লস হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ। গতকাল স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের নিশ্চিন্ত করতে উদ্বোধন করে মোবাইল অ্যাবসেন্ট মেসেজ পদ্ধতি। অর্থাৎ কোনও ছাত্রী স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে সেই বার্তা পৌঁছে যাবে। ভর্তির সময় স্কুলে জমা দেওয়া অভিভাবকদের মোবাইল ফোনে। এদিন থেকেই সেই পদ্ধতি চালু হয়ে গিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন পদক্ষেপের ভুয়সী প্রশংসা করছেন ছাত্রীদের অভিভাবকরাও। ভবিষ্যতে এমন আরও পদক্ষেপ গ্রহণের ইচ্ছে রয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দীপশ্রী মজুমদার এদিন জানান, তাঁদের স্কুলে ২,১৫০ জন ছাত্রী। শিক্ষিকার সংখ্যা ৩৬। গোটা জেলায় তাঁদের স্কুলের নাম রয়েছে। কিন্তু মেয়েরা স্কুলের নাম করে বাড়ি থেকে বেরোনোর পর তারা আদৌ স্কুল আসছে কিনা তা তাঁরা এতদিন জানতে পারতেন না। অভিভাবকরাও মেয়ে স্কুল গেল কিনা বুঝতে পারতেন না। সেকারণেই তাঁরা এই মেসেজ ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নেন। ডোমেন কিনে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। কোনও ছাত্রী স্কুলে না এলে বেলা ১২টার মধ্যে তাদের অভিভাবকদের মোবাইল ফোনে সেই বার্তা পৌঁছে যাবে। এতে অভিভাবকরা নিজেদের সন্তানের বিষয়ে আরও নিশিন্তে থাকতে পারবেন। ভবিষ্যতে তাঁরা স্কুল ছুটির সময়ও কোন কোন ছাত্রী স্কুল থেকে বেরোলো তার বার্তা অভিভাবকদের মোবাইল ফোনে মেসেজ মারফত পাঠানোর কথা শুরু করবেন। একই সঙ্গে কোনও বিশেষ কারণে স্কুল হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে সেই বার্তাও তাঁদের পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়াও সরকার যদি অনুমতি দেয় তবে তাঁরা ছাত্রীদের বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স পদ্ধতি চালু করতে পারেন। দীপশ্রীদেবী জানান, মেয়েদের কথা চিন্তা করে ইতিমধ্যেই তাঁরা প্রায় গোটা স্কুলকেই সিসিটিভি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলেছেন। নিজের কক্ষ থেকে তিনি মাইকযোগে যে-কোনো ক্লাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। কিন্তু তাতেও মেয়েদের উপর যথেষ্ট নজরদারি চালানো যাচ্ছিল না। তাই তাঁরা অ্যাবসেন্ট মেসেজ পদ্ধতি চালু করেছেন। এই জেলায় এমন পদ্ধতি আর কোনও স্কুলে রয়েছে কিনা তা তাঁর জানা নেই।
এক ছাত্রীর বাবা সনৎ রায় বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপকে তাঁরা স্বাগত জানাচ্ছেন। এতে তাঁরা ঘরের মেয়েদের স্কুল পাঠিয়ে অনেক বেশি নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Commentaires