অভিষেকের এমবিএ ডিগ্রিটা ভুয়ো, অমর্ত্য সেন ইশ্যুতে মন্তব্য সুকান্তর
top of page

অভিষেকের এমবিএ ডিগ্রিটা ভুয়ো, অমর্ত্য সেন ইশ্যুতে মন্তব্য সুকান্তর

অমর্ত্য সেন ইশ্যুতে মন্তব্য করার প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে টুয়েলভ পাশ ছেলে বলে কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ শুধু তাই নয়, অভিষেকের এমবিএ ডিগ্রিটা ভুয়ো বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর এই মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে ফের বিতর্কের জন্ম দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।


পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল মালদায় একাধিক কর্মসূচি ছিল বিজেপির দুই নেতা দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারের৷ বামনগোলা ও হবিবপুর এলাকায় দুটি জনসভা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি৷ হবিবপুরের জনসভা থেকে সুকান্ত বলেন, অনেকে বলছে, এবার নাকি তৃণমূল ভোট করতে দেবে না৷ বিডিওরা নাকি ভোট হতে দেবে না৷ তবে বিজেপিকে কি লুডু খেলবে? বিডিও নিরপেক্ষ থাকলে সম্মান পাবেন৷ আর তৃণমূলের হয়ে কাজ করলে তৃণমূলের গুণ্ডাদের সঙ্গে যা করা হয়, বিডিওর সঙ্গেও সবাই তেমন করবেন৷ মালদা জেলার তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতগুলির সঙ্গে জেলা পরিষদেও কোটি কোটি টাকা চুরি হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় টিম দুবার তদন্তে এসেছে৷ বড় চোরগুলোকে নেতারা ধরবে। তবে ছোট চোরগুলোকে মানুষকে ধরতে হবে৷



সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দল বাংলায় প্রাদেশিকতাবাদ তৈরি করার চেষ্টা করছেন৷ যাঁরা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাশ করেন, তাঁদের কত শতাংশ এই রাজ্যে চাকরি করেন? তাঁরা তো গুজরাট, বেঙ্গালুরু সহ বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করতে যাচ্ছেন৷ তাহলে তাঁদের তো সেখান থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া উচিত৷ এই প্রাদেশিকতাবাদ পশ্চিমবঙ্গের জন্য খুব খারাপ৷ অভিষেক জানেন, তাঁর সরকার কাজ করেনি৷ তাই প্রাদেশিকতাবাদের জিগির তৈরি করে ভোটের লড়াইয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছে এরা৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অমর্ত্য সেন সম্পর্কে এত বড় বড় কথা বলছেন, এটা বাঙালির লজ্জার বিষয়৷ টুয়েলভ পাশ একজন ছেলে, যার এমবিএ ডিগ্রিটাই ভুয়ো, সে একজন নোবেল লরিয়েট সম্পর্কে বড় বড় কথা বলছে৷ নোবেল পুরস্কারের বিষয়টা তো ইতিহাস৷ অ্যালফ্রেড নোবেল যে গুলি পুরস্কার চালু করে গিয়েছিলেন, তার মধ্যে অর্থনীতি ছিল না৷ এনিয়ে বিতর্ক হওয়া কাম্য নয়৷




আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

বিজ্ঞাপন

Malda-Guinea-House.jpg

আরও পড়ুন

bottom of page