তন্ত্রসাধনায় সিদ্ধি পেতে কিশোরীর বলি? উত্তেজনা চাঁচলে
আট বছরের নাবালিকার গলা কেটে খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা জুড়ে। তন্ত্রসাধনার জন্য খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত যুবককে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। বর্তমানে সে চাঁচল সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মৃত নাবালিকার নাম চুমকি বসাক (৮)৷ বাড়ি চাঁচলের গৌরহণ্ড গ্রামে। চুমকি স্থানীয় একটি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পাঠরত ছিল৷ বাবা সুনীল বসাক বিহারে কর্মরত। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল সন্ধে থেকে চুমকিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। রাত ১০টা নাগাদ গ্রামের কালীদিঘি জলাশয়ের পাশে চুমকির শ্বাসনালী কাটা মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয় যুবক বিক্রম ভগতের উপর৷ এলাকায় তন্ত্রসাধক হিসেবে পরিচিত ছিল সে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, তার বাবাও তন্ত্রসাধনা করতেন। কয়েকবছর আগেও একটি মেয়েকে খুনের চেষ্টা করেছিল সে। বিক্রমকে জেরা করতেই সে স্বীকার করে সাধনায় সিদ্ধিলাভের জন্য সে চুমকিকে বলি দিয়েছে। এরপরেই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে গণপিটুনি দিতে থাকে বিক্রমকে। ভাঙচুর চালানো হয় বিক্রমের বাড়িতেও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় চাঁচল থানার পুলিশ। ক্ষিপ্ত জনতার হাত থেকে বিক্রমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
গ্রামবাসীদের দাবি, বিক্রমের বাবা বড়ো তান্ত্রিক ছিল৷ বিক্রমও তন্ত্রসাধনা করে৷ সাধনা করার জন্যই সে মেয়েটাকে গলা কেটে খুন করেছে৷ এর আগেও বিক্রম একটি মেয়েকে খুনের চেষ্টা করেছিল। চুমকির মা অমলি বসাক জানান, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। বিক্রম এই কাজ করেছে। তাঁরা বিক্রমের ফাঁসি চান।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
ความคิดเห็น