নিখোঁজ ৫ পড়ুয়া, উদ্বেগে স্থানীয় লোকজন
একই সঙ্গে পাঁচ পড়ুয়ার নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার অভিযোগে চাঞ্চল্য কালিয়াচকে। ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সী নিখোঁজ পড়ুয়ারা সরকার অনুমোদিত মাদ্রাসার ছাত্র হলেও অনুমোদন ও অনুদানহীন ধর্মীয় আবাসিক মাদ্রাসায় (খারিজি) থেকে পড়াশোনা করে৷ গোটা ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ৷ একই সঙ্গে পাঁচ পড়ুয়ার নিখোঁজের ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ওই এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কালিয়াচকের মোসিমপুর এলাকার একটি মাদ্রাসায় পাঠরত ছিল ওই পাঁচ পড়ুয়া। মঙ্গলবার বিকেলে মাঠে খেলতে গিয়েছিল তারা। এরপর থেকে পাঁচ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বুধবার সকালে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ফোন করে পরিবারগুলিকে জানায়, সম্ভবত খেলার মাঠ থেকে পাঁচজন নিজেদের বাড়ি চলে গিয়েছে৷ তাদের যেন দ্রুত মাদ্রাসায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়৷ পরিবারের তরফে জানানো হয়, পাঁচজনের কেউই বাড়িতে নেই। সকলেরই মাদ্রাসায় থাকার কথা। অবশেষে গতকাল রাতে চার অভিভাবক কালিয়াচক থানায় মিসিং ডায়ারি করেন।

নিখোঁজ পাঁচ পড়ুয়ার নাম মোহম্মদ ইকবাল (১২), আবু সুফিয়ান (১৪) এবং রামিজ রাজার (১১), মোহম্মদ জুবেইর ইসলাম (১৩) ও মোহম্মদ আসরাউল শেখ (১২)। ইকবাল, সুফিয়ান, রামিজের বাড়ি সুজাপুর সংলগ্ন এলাকায়৷ জুবেইর ইংরেজবাজার থানার কাটাগড় এলাকার বাসিন্দা৷ আসরাউল শেখের বাড়ি বিহারের কিশানগঞ্জে৷
ওই মাদ্রাসাটি ইন্দো-বাংলা সীমান্ত এলাকা থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত। নিখোঁজ পড়ুয়ারা কোনোভাবে মৌলবাদী সংগঠনের শিকার হয়নি তো, সেই উদ্বেগে রয়েছেন স্থানীয় লোকজন। যদিও এনিয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি।
আমাদের মালদা এখন টেলিগ্রামেও। জেলার প্রতিদিনের নিউজ পড়ুন আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
Kommentarer